টানা বর্ষণে বান্দরবানের নিমাঞ্চল প্লাবিত, পাহাড় ধসের আশঙ্কা
৬ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৩৯
বান্দরবান: পার্বত্য জেলা বান্দরবানে টানা চার দিন ধরে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রোববার (৬ আগস্ট) দেখা গেছে, প্লাবিত এলাকাসহ আশপাশের লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছে।
এদিকে, অবিরাম বর্ষণ অব্যহত থাকায় নদীর পানি বিভিন্ন ঝিড়ি-ছড়া দিয়ে প্রবেশ করে বান্দরবান শহরের আর্মি পাড়া, অফিসার্স ক্লাব, শেরেবাংলা নগর, সাঙ্গু নদীর তীরবর্তী এলাকা, ব্রিগেড এলাকা, ক্যাচিংঘাটাসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত করেছে। এসব এলাকার লোকজনদেরও বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
বান্দরবান সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা নারগিস সুলতানা বলেন, ‘ভারী বর্ষণে বান্দরবান জেলার কিছু কিছু স্থানে ছোট-বড় বেশকিছু পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সেইসঙ্গে স্থানীয়দের সতর্ক করতেও ব্যবস্থা নিয়েছি।’ সদর উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের দুর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্লাবিত এলাকার লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলায় মোট ১৯২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শহরে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং অব্যহত রয়েছে।
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার মানুষ।
সারাবাংলা/এমই/পিটিএম