সাইবার নিরাপত্তা আইনে অনুমোদন মন্ত্রিসভার
৭ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৮
ঢাকা: ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’-কে প্রতিস্থাপন করতে যাওয়া ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’-এ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি এখন ‘ভেটিং’ তথা যাচাই ও মতামতের জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে তীব্র সমালোচনার মুখে ২০১৮ সালে আইসিটি আইন বাতিল করে সরকার। ওই সময় ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ পাস করা হয়। তবে এই আইন নিয়েও অনেক সমালোচনা রয়েছে। এই আইনটিও বাতিল করার দাবি ছিল বিভিন্ন মহল থেকে।
এর মধ্যেই সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি স্থগিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন দিয়ে সেটি প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ধারাই পরিবর্তন করে যুক্ত করা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইনে।
ডিজিটাল নাম বদলে আসছে সাইবার নিরাপত্তা আইন
আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী নতুন এই সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট তথা সাইবার নিরাপত্তা আইন মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেন। আইনটিকে মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেসব ধারা ছিল, সেগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও অক্ষত রাখা হয়েছে। সেসব ধারায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় পরিবর্তনের তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনেক অপরাধই ছিল জামিন-অযোগ্য। সেসব অপরাধকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। আবার মানহানির অপরাধের যে ধারায় সাজা ছিল কারাদণ্ড, সেটি বদলে সাজা কেবল জরিমানা করা হয়েছে।’
আনিসুল হক আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে অনেক অপরাধের ক্ষেত্রেই দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে প্রথম অপরাধের সাজার চেয়ে দ্বিগুণ বা অনেক বেশি সাজার বিধান ছিল। সাইবার নিরাপত্তা আইনে সেরকম কিছু থাকছে না। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলেও সাজা প্রথম অপরাধের মতো একই থাকবে।’
সারাবাংলা/জেআর/টিআর/এমও