পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ, ধস-পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে ৫ জনের মৃত্যু
৮ আগস্ট ২০২৩ ১৫:০৭
কক্সবাজার: টানা বৃষ্টি, জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের ৩২টি ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এরইমধ্যে চকরিয়া ও পেকুয়ায় ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে এনেছে প্রশাসন। এছাড়া উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং চকরিয়ায় পাহাড় ধসে মাটির দেয়াল চাপা ও ঢলে ভেসে তিন শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পানিবন্দি মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনার পাশাপাশি শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
গত ৪ দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে পাহাড়ি ঢলের পানি। পানিতে ডুবে গেছে মানুষের বসতি, সড়কগুলো। একইসঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের ক্ষেত-খামার, পুকুর ও চিংড়িঘের।
গত কয়েকদিনে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের ৮টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। ক্রমশই বেড়ে চলছে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ। চকরিয়ার কাকারা এলাকার মো. লিয়াকত হোসেন জানান, বিগত বর্ষাগুলোতে তার ঘরের উঠোনে পানি ওঠেনি। কিন্তু এবার নিচতলায ভেসে গেছে। পানিবন্দি হয়ে খুবই মানবেতার দিন কাটছে।
পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম জানান, টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে প্রতিবছর তাদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাই ত্রাণ নয় চূড়ান্তভাবে এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চান তিনি।
কুতুপালং বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুল আলিম বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে খুবই আতঙ্কে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে পার্শ্ববর্তী পাহাড় ধসে পড়তে পারে।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, এরইমধ্যে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাদের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টানা বৃষ্টি, জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের ৩২টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এরইমধ্যে চকরিয়া ও পেকুয়ায় ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে। একইভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।’
অন্যদিকে, পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরি নদীতে ভেসে আসা কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে রশিদ নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আর চকরিয়ায় পাহাড় ধসে মাটির দেয়াল চাপায় একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মাটি চাপায় মৃত্যু হয়েছে মা-মেয়ের।
সারাবাংলা/এমও