সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা রুখতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের শপথ
৮ আগস্ট ২০২৩ ১৭:০৬
ঢাকা: সুনামগঞ্জের টাঙুয়ার হাওড় থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২৪ শিক্ষার্থীসহ মোট ৩৪ জনকে আটকের ঘটনার পর ফের আলোচনায় এসেছে বুয়েট পরিস্থিতি। এবার সবধরনের সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে সম্মিলিতভাবে রুখে দেওয়ারও শপথ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে সম্মিলিত কণ্ঠে শপথ পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
শপথে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, আজ এই মূহূর্ত থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কল্যাণ ও নিরাপত্তার নিমিত্তে আমার ওপর অর্পিত ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক নৈতিক ও মানবিক সকল প্রকার দায়িত্ব সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।’
শপথ বাক্যে আরও বলা হয়, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় আমার জ্ঞাতসারে হওয়া প্রত্যেক অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমি সর্বদা সোচ্চার থাকব। আমি আরও প্রতিজ্ঞা করছি যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখে দেব। নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সবধরনের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার আমরা সমূলে উৎপাটিত করব।’
‘এই আঙিনায় যেন আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে না যায়, আর কোনো নিরপরাধ যেন অত্যাচারের শিকার না হয়, তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করব।’
শপথ পাঠ শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এক লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন— লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির চরমতম রূপ বারবার আঘাত হেনেছে বুয়েট ক্যাম্পাসে। কালের পরিক্রমায় আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে যখন শিক্ষার্থীরা সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করেছে তখনই তাদের নিরপেক্ষ মনোভাবকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে অপপ্রচার চালাচ্ছে স্বার্থানেষী মহল।
সুনামগঞ্জ থেকে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে তারা বলেন, এ বিষয়ে আমরা রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখে একটি সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার আশা করছি। যদি তারা প্রত্যেকেই দোষী প্রমাণিত হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবশ্যই তাদের বিপক্ষে থাকবে। একইভাবে যদি তাদের মধ্যে কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তবে তারা যেন কোনোভাবে কোনো হয়রানির স্বীকার না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকর। এ ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কোনো সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত কি না, বা তারা ক্যাম্পাসে অন্য শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করছে কি না এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্তের জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তারা।
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম