বৃষ্টি কমলেও নিম্নাঞ্চলে পানি, পাহাড় ধসের আশঙ্কা
৯ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৩১
খাগড়াছড়ি: গতকাল হতে বৃষ্টি কমে এলেও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির নয় উপজেলার ৩৮ ইউনিয়ন এখনো জলমগ্ন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লোকজন। এ ছাড়া প্লাবিত এলাকার পাশাপাশি শুরু হয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা। যদিও ইতোমধ্যে কিছু পাহাড় ধসে পড়ায় আন্তঃসড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, গত দু’দিন ধরে ডুবে আছে জেলার দিঘীনালা উপজেলার মেরুং বাজার। সেখানকার অলি-গলিতে অনেকে মাছ ধরতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, শুধু খাগড়াছড়ি পৌর শহরেই ৩০টি অতি ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার বসবাস করে। আর পুরো জেলায় পাহাড় ধসের ঝুকি নিয়ে বসতি গড়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার। বন্যাকবলিত ও পাহাড়ের ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করছে ফায়ার সাভির্স ও পৌরসভা।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলা সদরের শান্তিনগর, মুসলিমপাড়া, ফুটবিল, কলেজপাড়া রূপনগর, গোলাবাড়ি ও গঞ্জপাড়া এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। ইতোমধ্যে টানা বর্ষণে শহরের সবুবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পাশাপাশি বন্যা দুর্গতদের খাদ্য ও পানি সরবরাহ করছে খাগড়াছড়ি পৌরসভা।
মেরুং বাজারের বাসিন্দারা জানান, বাজারে পানি উঠেছে। ব্যাবসা-বাণিজ্য বন্ধ। সেজন্য ব্যবসায়ীরা বাজারে জাল দিয়ে মাছ ধরছে।
দিঘীনালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরফাতুল আলম জানান, উপজেলার মাঈনী নদীর পানিতে ডুবে গেছে মেরুং-লংগদু সড়ক। মঙ্গলবার সকাল থেকে সবধরনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। মেরুং ইউনিয়নের একমাত্র বাজারটিও এখন পানির নিছে। এছাড়া নিম্নাঞ্চলও পানির নিচে। এখানে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, বন্যাকবলিত ও পাহাড় ধসে যাওয়া এলাকা ঘুরে দেখছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। তিনি জানান, জেলার দিঘীনালা, পানছড়ি, খাগড়াছড়ি সদর, মহালছড়ি, রামগড় ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার শতাধিক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় নয় উপজেলায় ১৩৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজগুলাতে যাতে মানুষ আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/জেএম/পিটিএম