মুশতাকের বিরুদ্ধে আইডিয়াল ছাত্রীর বাবার ধর্ষণ মামলা
১০ আগস্ট ২০২৩ ১২:০৮
ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদসহ দুই জনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি হলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী।
ভিকটিম কলেজ ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই সময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ ভিকটিমের বাবা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতো এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতো। খোঁজ-খবর নেয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতো। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়।
আরও জানা যায়, ভিকটিম এরকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। এরপর অধ্যক্ষ ব্যবস্থা করতেছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। এ বিষয়ে বাদী অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোন সহযোগিতা করেননি বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে বলে অভিযোগ করেন।
সারাবাংলা/এআই/এনইউ