নাইকো দুর্নীতি মামলায় মওদুদের চার্জ শুনানি ২৫ জুন
১৩ মে ২০১৮ ১২:৫৪
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নাইকো দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চার্জ শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ২৫ জুন চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ মে) রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন খালেদা জিয়া উপস্থিত না হওয়ায়, আর মামলার আরেক আসামি মারা যাওয়ার কারণে চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার পক্ষের আইনজীবী। আদালত চার্জ শুনানির আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মওদুদ আহমেদের চার্জ শুনানির জন্য নতুন তারিখ ঠিক করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম ও এ কে মোশাররফ হোসেন সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপেক্ষিতে আদালত আগামী ধার্য তারিখে হাজির হওয়ার শর্তে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। গত ৫ মে এই মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামি শফিউল রহমান মারা গেলে এই বিষয়ে আদালতকে অবহিত করেন তার পক্ষের আইনজীবী।
অন্যদিকে, খালেদা জিয়া অন্য মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন সেই বিষয়ে আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। এই মামলার শুরু থেকে তিন আসামি পলাতক।
গত ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান। কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
গত ২০০৮ সালের ০৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।
মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স এর সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
সারাবাংলা/এআই/এমও