মানুষ নয়, গরুর খামারের পাহারায় কুকুর!
১০ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩৩
নওগাঁ: কোনো মানুষ নয়, গরুর খামার পাহারা দিচ্ছে কুকুর। চোর ও শেয়ালের উৎপাত থেকে রেহাই পেতে গবাদিপশুর পাহারায় রাখায় হয়েছে জ্যাক ও হান্না নামের বিদেশি জাতের দু’টি কুকুরকে।
১০ মাস আগে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের সারক ডাংগার মাঠ নোনাহার (পশ্চিম পাঁড়ায়) একটি গরুর খামার গড়ে তোলেন উদ্যোক্তা মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ। বর্তমানে তার খামারে ১০০টির মতো বিভিন্ন জাতের গরু আছে। আর এই খামারের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছে বিদেশি (জার্মান) জাতের দু’টি কুকুর। এমন পদক্ষেপ নেওয়ার সুফলও পাচ্ছেন তিনি। অনেকটা শখের বসে হলেও বেশ সাড়া ফেলেছে তার এই পদ্ধতি।
খামারি মুজাহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘১০ মাস আগে আমি এই গরুর খামার শুরু করি। এর পর শখের বসে ঢাকার একটি ফার্ম থেকে খামার পাহারার জন্য বিদেশি জাতের দুটি কুকুর কিনে আনি। নিরাপত্তার জন্য রাত আটটার পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার সকালে তাদের আটকে ফেলা হয়। খামারের চারপাশে বাউন্ডারি থাকায় কুকুর দুটি বাইরে যেতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের চেয়ে কুকুর বিশ্বস্ত বেশি। আর দ্রুত পোষও মানে এই প্রাণীটি। কুকুর রাতে ঘুমায় না। আর ঘুমিয়ে গেলেও শব্দ পেলে জেগে ওঠে। সেই চিন্তা থেকেই এই পরিকল্পনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘চোর কয়েকবার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টাও করেছে। কিন্তু কুকুরগুলো হৈ-চৈ করে টের পাইয়ে দিয়েছে। এছাড়াও দিনে বা রাতে অপরিচিত কোনো মানুষকে প্রবেশ করতে দেখলেই হৈ-চৈ শুরু করে দেয়। সহজেই কুকুরকে ফাঁকি দিয়ে কেউ ভেতরে ঢুকতে পারে না।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কুকুর যে কেউ পালতে পারে। কেউ যদি এই ধরনের কুকুর রাখতে চায় তাহলে অবশ্যই জলাতঙ্ক’র টিকা দিতে হবে। দেখা গেল, কোনো চোরকে কুকুর কামড় দিল। এতে সেই ব্যক্তি মারা গেল। তখন এর দায়ভার কে নেবে? এছাড়া যারা পোষে তাদেরও তো ক্ষতি হতে পারে। এজন্য অবশ্যই জলাতঙ্ক’র টিকা দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা গ্রামে বাস করে কম-বেশি সবার বাড়িতেই কুকুর থাকে। কুকুর যে বাড়িতে থাকে অপরিচিত কেউ গেলে হৈ-চৈ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কুকুর দিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম হয় কিনা আমার জানা নেই।’
সারাবাংলা/আআরপি/পিটিএম