পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়া সেই শিক্ষক গ্রেফতার
১৪ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫২ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার হেফাজত থেকে ওই ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই শিক্ষক ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিল।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে বান্দরবান জেলা সদর থেকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা পুলিশ শিক্ষককে গ্রেফতারের পাশাপাশি ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
গ্রেফতার মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৪) নগরীর পাহাড়িকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তমিজ উদ্দিন জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ১ জুলাই মঞ্জুরুল খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ইসলাম ধর্ম ও সামাজিক বিজ্ঞান পড়াতেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে ১১ বছর বয়সী ওই ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার বাবা প্রথমে থানায় নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে রোববার মামলা দায়ের করা হয়। এর ভিত্তিতে সোমবার সকালে বান্দরবান সদরে একটি স্থানে অভিযান চালিয়ে শিক্ষক ও ছাত্রীকে পাওয় যায়।
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওসি জাহিদুল বলেন, ‘শিক্ষক মঞ্জুরুল অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। শনিবার বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যাবার পথে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে বান্দরবানে চলে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষক মঞ্জুরুলের বিষয়ে সন্দেহের কথা আমাদের জানানো হয়। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার করি। তাকে চট্টগ্রামে ফেরত আনা হচ্ছে। এরপর বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তমিজ উদ্দিন জানান, শনিবার রাতে ছাত্রীর বাবা তাকে ফোন করে মেয়ে নিখোঁজের বিষয় জানান। একইসঙ্গে মঞ্জুরুলকে সন্দেহের বিষয়ও জানান। এরপর তিনি শিক্ষকদের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সহপাঠী কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা জানায়, মঞ্জুরুল এবং ওই ছাত্রীর মধ্যে নিয়মিত মোবাইলে মেসেজ আদান-প্রদান হতো। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়ে শিক্ষকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন।
‘৭ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। ১১ ও ১২ আগস্ট ছিল সরকারি ছুটি। ১৩ আগস্ট অর্থাৎ রোববার যখন মঞ্জুরুল বিনা নোটিশে স্কুলে আসেনি, তখন আমরা নিশ্চিত হই যে, এ ঘটনা সে-ই ঘটিয়েছে। এর আগে আমরা দুইদিন ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। মঞ্জুরুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকি আইনি পদক্ষেপ পুলিশ নেবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ