হাছান মাহমুদের বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
১৫ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৪৭
ঢাকা: ‘মহিলা নেত্রীদের নিয়ে সাজগোজ করে বিদেশিদের কাছে গিয়ে বিএনপির কোনো লাভ হয়নি’- এমন বক্তব্য দেওয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মারইয়াম খন্দকার এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
তিনি জানান, বিএনপির নারীদের নিয়ে সাজগোজ করে বিদেশিদের কাছে গিয়ে কোনো লাভ হয়নি সংক্রান্ত বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ১৪ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে হবে। অন্যথায় যথাযথ আদালতে আইনি প্রতিকারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নোটিশে বলা হয়, এটা ভিত্তিহীন ও অসম্মানজনক বক্তব্য। এটা নারীদের মর্যাদা ও অধিকারের ওপর আঘাত। নোটিশ গ্রহীতার পদ ও অবস্থানের সঙ্গে এ ধরনের বক্তব্য বেমানান। এটি মানহানি, অশালীন, উস্কানিমূলক এবং মিথ্যা বক্তব্য।
নোটিশে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশিদের কাছে ধরণা দিয়ে, জ্বালাও-পোড়াও করে বিএনপির কোনো লাভ হয়নি বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এই দেশ বাংলদেশের মানুষের, অন্য কারও নয়। যদি যেতে হয়, জনগণের কাছে যেতে হবে। মহিলা নেত্রীদের নিয়ে সাজগোজ করে বিদেশিদের কাছে গিয়ে বিএনপির কোনো লাভ হয়নি, জ্বালাও-পোড়াও করেও কোনো লাভ হয়নি। এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার।’
গত ১২ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষে এক সভায় এমন মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
এ কারণে নোটিশপ্রাপ্তির ১৪ দিনের মধ্যে হাছান মাহমুদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম