কামরাঙ্গীরচরে স্ত্রীকে ‘হত্যার পর’ স্বামী পলাতক
১৫ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪২
ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে স্ত্রী মেহেরুন্নেসা মীমকে (১৭) শ্বাসরোধে হত্যার অভযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। তবে ঘটনার পর থেকে স্বামী সোহেল পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুড় দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। অচেতন অবস্থায় মীমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মীম কামরাঙ্গীরচর ট্যানারি পুড়দকুরপাড় জামাল দেওয়ান গলির বাদশা মিয়ার বাড়িতে স্বামী সোহেলের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। পাশাপাশি বাসায় থাকতেন নিহতের বড় বোন তন্বিকাসহ তার পরিবার। বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন।
হাসপাতালে নিহতের বড় মন তন্বিকা আক্তার জানান, চার বছর আগে সোহেল নামে ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় মীমের। তাদের ঘরে মাহিমা নামে দুই বছরের একটি এক সন্তান আছে। মিমের শ্বশুরবাড়ি শেরপুর জেলায়। গত দুই মাস ধরে কামরাঙ্গীরচরে বাসা ভাড়া নেয় মীম।
তন্বিকা অভিযোগ করেন, আজকে দুপুরের দিকে গোসলের সময় সোহেল মীমকে বাথরুমে ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাথরুমে মীমকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যায় সোহেল। পালিয়ে যাওয়ার সময় সে সবাইকে বলে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে বাথরুমে পড়ে আছে। ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে যাচ্ছি। এই বলে সে আর ফিরে আসেনি। তখন তার পরিবারের লোকজন বাথরুমে গিয়ে দেখেন মীম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই)) মো. মাসুদ মিয়া জানান, অচেতন অবস্থায় ওই মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার থেকে অভিযোগ করেন যে স্বামী গলাটিপে হত্যা করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করতে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/একে