আমরা পলিটিশিয়ানরা কাপুরুষ: ওবায়দুল কাদের
১৬ আগস্ট ২০২৩ ১৭:১০
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা বড় বড় পদে গেছি, বড় বড় নেতা হয়েছি। কিন্তু সেদিন কর্নেল জামিল যে সাহস যে আনুগত্য, যে দেশপ্রেম দেখিয়েছেন সেটা কি কোনো পলিটিশিয়ান, যাদেরকে বঙ্গবন্ধু নেতা বানিয়েছেন তারা কি কেউ দেখাতে পেরেছেন? এটাই হলো সত্য। ১৫ আগস্টে বীরপুরুষ হচ্ছে কর্নেল জামিল আর আমরা সবাই কাপুরুষ। ইতিহাসের এ সত্যকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের স্মরণ সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকার ষড়যন্ত্র চক্রান্তের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সব সত্য আমরা এখনও জানি না! সব সত্য এখনও বেরি হয়ে আসেনি। অজানা অনেক তথ্য রয়ে গেছে।’
সত্য প্রকাশ হবেই আশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পাদন করেছেন। সেখানে অনেক সত্য বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু এ সত্যটি আমরা কত জনে স্বীকার করি? আমরা জানি, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কয়েকজনকে ফোন করেছিলেন। তাদের মধ্যে নেতাও আছেন, সেনাপ্রধানও আছেন। কে সাড়া দিয়েছে? কে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছে?’
‘আজ বলতে চাই, সত্য যদি বলতে হয় শুধুমাত্র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্নেল জামিল বঙ্গবন্ধকে রক্ষা করতে ছুটে এসেছিল ৩২ নম্বরে। কোন নেতা আসিনি। আমরা কেউ বঙ্গবন্ধুর জন্য তার ডাকে সাড়া দিয়ে ৩২-নম্বরে আসিনি। আমাদের বিবেকের কাছে আমরা অনেকেই অপরাধী’, বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম ১৫ আগস্টের খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠাল কে? ১৫ আগস্টের খুনিদের বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করল কে? জিয়াউর রহমান নয়? কে তিনি?’
১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একজন মানুষের কয়টা জন্ম দিবস থাকে। সর্বশেষ করোনা টেস্টের ষষ্ঠটা মিলিয়ে ছয় ছয়টা জন্মদিবস খালেদা জিয়ার, একথা যখন আমি বলি ফখরুল বলে শিষ্ঠাচার বহির্ভূত।’
বিএনপিকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৩ নভেম্বরের মাস্টারমাইন্ড, ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড। হরকাতুল জিহাদ নেতা জবানবন্দিতে বলেছে হাওয়া ভবনের নির্দেশ পেয়ে গ্রেনেড হামলা শুরু হয়েছিল। যার প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি জিয়াউর রহমানও দিয়েছে আবার অপারেশন ক্লিনহার্টের সময় বেগম খালেদা জিয়াও দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবসের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভা পরিচালনা করছেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
সভার শুরুতে ১৫ নিহত সকল শহিদসহ অন্যান্য শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সারাবাংলা/এনআর/এমও