Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপির আন্দোলনের বেলুন ফুটো হয়ে গেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ আগস্ট ২০২৩ ২২:৪২

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিদেশিদের সমর্থন না পেয়ে বিএনপির আন্দোলনের বেলুন ফুটো হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর এলজিইডি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের জাতীয় শোক দিবসের সভায় তিনি একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল। অর্থাৎ আন্দোলনের বেলুনটা তারা ফুলিয়েছিল। পরদিন আবার ঢাকার প্রবেশমুখ অবরোধ দেয়। কিন্তু এরপর দেখা গেল, তাদের আন্দোলনের বেলুন ফুটো হয়ে গেছে। বিএনপি বুঝতে পেরেছে, শেখ হাসিনাকে সরানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সেজন্য বেলুন ফোলানোর বাতাস আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।’

‘বিএনপি আন্দোলনের বেলুন আর ফোলাতে পারছে না। এজন্য এখন তাদের লিফলেট বিতরণ আর হাঁটা কর্মসূচি। পদযাত্রা মানেই তো হাঁটা। কয়দিন হাঁটা কর্মসূচি, কয়দিন বসা কর্মসূচি, আবার কয়দিন দৌড়ানো কর্মসূচি দিয়ে তারা কর্মীদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছে।’

বিএনপির সঙ্গে এখন আর কোনো বিদেশি শক্তি নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির কর্মীরাও জেনে গেছে, বিদেশিদের পদলেহন করে তাদের কোনো লাভ হয়নি। বিদেশিরাও তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তথাকথিত নিরপেক্ষ সরকার, এগুলোর প্রতি কোনো সমর্থন জানায়নি। সেজন্য বিএনপি আন্দোলনের বেলুনের আর ফেলাতে পারছে না। একটু বাতাস ঢুকে, আবার বের হয়ে যায়, এই হচ্ছে বিএনপি’র দশা।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংস্থার সাম্প্রতিক জরিপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইআরআই জরিপে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনার কাজ ৭০ শতাংশ মানুষ সমর্থন করে। জরিপের ফলাফল শুনে অনেকের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এত অপপ্রচার, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ করে, সপ্তাহে কয়েকদিন বিভিন্ন অ্যাম্বাসিতে ধর্ণা দিয়ে, তাদের পদলেহন করেও কোনো লাভ হয়নি। জনপ্রিয়তা কমানো যায়নি শেখ হাসিনার। এতে তাদের মাথা খুব খারাপ হয়ে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

তারেক রহমান বিএনপিকে তার লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করতে চায় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানের নীতি হচ্ছে, যতদিন তিনি ইলেকশন করতে পারবেন না, ততদিন বিএনপির কেউ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদেও নির্বাচন করতে পারবেন না।’

‘বিএনপি নেতাদের বলতে চাই, আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার ইলেকশন করতে দেন না, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর-মেয়র ইলেকশন করতে দেন না, পার্লামেন্ট ইলেকশনও করতে দেন না, পার্লামেন্টে নির্বাচিত হবার পর শপথ গ্রহণ করতে দেননি মির্জা ফখরুল সাহেবকে। আবার পার্লামেন্টের নির্বাচিতদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। আপনারা কি তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হবেন?’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও নেতারা অনেকেই নির্বাচন বর্জন করবেন না। নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই হচ্ছে মুখ্য। বিএনপি নেতারা কিংবা বিএনপি অংশগ্রহণ করল কি না সেটি মুখ্য নয়। কেউ নির্বাচনে আসুক বা না আসুক জনগণের অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে আগামী নির্বাচন হবে।’

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি স্বজন কুমার তালুকদার, মো. মঈনুদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর