Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিজিটাল ব্যাংক করতে চায় পাঠাও

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৬

ঢাকা: ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে চায় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল সার্ভিসেস কোম্পানি পাঠাও। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সের অপেক্ষায় আছে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপন করে এক কোটি তরুণ ভোক্তা এবং পাঁচ লাখ ড্রাইভার, ডেলিভারি এজেন্ট ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জীবনমান প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে অগ্রহী।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের যে বৃহৎ অংশ দ্রুত উর্দ্ধগামী ও ডিজিটাল জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাদের বেশিরভাগ ইতোমধ্যেই পাঠাও এর নিয়মিত ব্যবহারকারী। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের অর্থনৈতিক খাতে অবদানকারী এই জনগোষ্ঠীর চাহিদাগুলো অবহেলিত থেকে যায়। ঋণ গ্রহণের জন্য তাদের পর্যাপ্ত যোগ্যতা ও চাহিদা থেকে থাকলেও এ জন্য তাদেরকে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ হিসাবে বলা হয়, প্রচলিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই ভোক্তাদের, ও প্রযুক্তি-নির্ভর কম পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসার, যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত বিতরণ ব্যবস্থা, ডেটা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাব রয়েছে।

সমৃদ্ধ গ্রাহক ডেটা, উন্নত অ্যানালিটিকস ও উচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশল ক্ষমতা থাকার ফলে পাঠাও এই নির্দিষ্ট অংশটির আর্থিক সমস্যার সমাধানে বিশেষ উদ্ভাবনী পদ্ধতি নিয়ে এসেছে, যার একটি নমুনা ‘পাঠাও পে লেটার’– বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ ‘বাই নাও পে লেটার (বিএনপিএল)’ সলিউশন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম দ্বারা পরিচালিত ‘পাঠাও পে লেটার’ এ রয়েছে কোম্পানিটির ১ লাখেরও বেশি বিশ্বস্ত গ্রাহকের জন্য খরচের শিথিলযোগ্য সময়সীমা এবং নিরবচ্ছিন্ন ‘ইউজার এক্সপিরিয়েন্স’। ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বরের যাত্রা শুরুর পর থেকে পাঠাও পে লেটার সময়মতো বকেয়া পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে অসামান্য দক্ষতা দেখিয়ে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

পরে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ডিজিটাল পেমেন্ট ওয়ালেট চালুর জন্য পাঠাওকে একটি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্স দেওয়া হয়। পাঠাও পে ইতোমধ্যেই ক্লোজড বেটা টেস্টিং প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাণিজ্যিক পরিসরেও চলে আসবে।

ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স পাঠাওকে এমন একটি রেগুলেটরি কাঠামোর সুবিধা দিবে, যার মাধ্যমে এর সকল ভোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো যেভাবে চায় সেভাবেই লেনদেন করতে পারবে, যখন প্রয়োজন তখনি অর্থায়ন করতে পারবে, এবং যেভাবে উচিত সেভাবেই তহবিল পরিচালনা করতে পারবে।

এ ব্যাপারে পাঠাও এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘পাঠাও শুধুমাত্র একটি ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট না— এটি একটি লাইফস্টাইল। শহুরে যাতায়াত ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের গিগ ইকোনমির ক্ষেত্রে পাঠাও এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে; এবার পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকেও আমূলে বদলে দেবে। আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে আমরা ক্যাটালিস্টের ভূমিকা পালন করবো।’

সারাবাংলা/জিএস/ইআ

পাঠাও

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর