Tuesday 19 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ৫২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ আগস্ট ২০২৩ ১৭:২৬

ঢাকা: প্রথমবারের মত বাংলাদেশে চালু হতে যাওয়া ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে দেশি-বিদেশি ৫২টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিমা প্রতিষ্ঠান, মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এছাড়াও আছে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর, তথ্য প্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, এমনকি ওষুধ কোম্পানি ও ঢেউশিট উৎপাদনকারী কোম্পানি, রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি কোম্পানির মতো দেশি ও বহুজা‌তিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। লাইসেন্স পেতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কেউ এককভাবে আবার কেউ যৌথ উদ্যোগে আবেদন করেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য নির্ধা‌রিত সম‌য়ে ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এটা আমা‌দের প্রত্যাশার চে‌য়ে বে‌শি।

তিনি আরও বলেন, এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে যেগুলো যোগ্য হবে তাদের লাইসেন্সের জন্য এলওআই (লেটার অব ইন্টেন্ট) দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাং‌কের বোর্ড।

জানা যায়, নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনা ও লেনদেন আরও সহজ করতে সরকারের ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’গড়ার উদ্যোগে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শাখা, উপশাখা, এটিএম বুথ ছাড়াই পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর চলবে ‘ডিজিটাল ব্যাংক। থাকবে না সশরীরে লেনদেনের কোনো ব্যবস্থা।

মোবাইল আর ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারে গ্রাহকদের দেবে ব্যাংক সেবা। সম্প্রতি দেশে এই ধরনের ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদনও আহ্বান করা হয়। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে বেসরকারি খাতের ১০টি ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ৪টি ব্যাংক, নগদ, বিকাশ, বাংলালিংক ও পাঠাওসহ মোট ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে।

বিজ্ঞাপন

বেশ কয়েক বছরের প্রস্তুতি শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইসেন্সের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করে গত জুন থেকে। শুরুতে আবেদন করার শেষ সময় ছিল গত ১ আগস্ট। সে সময়ের মধ্যে কোনো আবেদন জমা না পড়ায় পরে তা বাড়িয়ে ১৭ আগস্ট করা হয়।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর প্রথম শর্ত হিসেবে থাকছে ১২৫ কোটি টাকার ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণ। ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে প্রত্যেক স্পন্সরের ন্যূনতম শেয়ারের পরিমাণ হতে হবে ৫০ লাখ টাকা। সরাসরি কাউন্টারে বা সশরীরে কোনো গ্রাহককে সেবা দেওয়া যাবে না। লাইসেন্স পাওয়ার পরের পাঁচ বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে।

এর আগে গত ১৪ জুন ‘ডিজিটাল ব্যাংক নীতিমালা’চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ১০ শর্ত অনুসরণ করতে হবে। আর ঋণ বিতরণের জন্য পাঁচটি শর্ত অনুসরণ করতে হবে। এছাড়াও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং ও ব্যাংকিং রেগুলেশন ইত্যাদি বিষয়ে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্নসহ ব্যাংকিং পেশায় ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

সারাবাংলা/জিএস/এনইউ

আবেদন টপ নিউজ ডিজিটাল ব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর