‘বড় অভ্যুত্থান ছাড়া এদের সরানো সম্ভব না’
২৩ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৫১
ঢাকা: সুনামির মতো বড় অভ্যুত্থান ছাড়া এদের (সরকার) সরানো সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘নাগরিকদের সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকারের সব কর্মকাণ্ডই দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে। আজ এক ব্যক্তির কারণে সংবিধান কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনে করে কেবল তারাই এ দেশের মালিক অথবা এ দেশটি এক ব্যক্তি ও একটি পরিবারের। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন বড় ধরনের একটি ঝাঁকি ও সংগ্রাম। সুনামির মতো বড় একটি অভ্যুত্থান ছাড়া এদের সরানো সম্ভব না।’
তিনি বলেন, ‘তরুণরা ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু চলমান আন্দোলনে তরুণদের কম দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টি গভীরভাবে ভাবতে হবে। আজকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।’
‘যখন দেখি নারী লাঞ্ছিত হচ্ছে, শিক্ষাঙ্গণে ছাত্রী লাঞ্ছিত হচ্ছে তখন ছাত্ররা রাজপথে নামে না, তরুণরা প্রতিবাদী হয় না, তখন কষ্ট পাই। অথচ, পাকিস্তান শাসনামলে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে এই ছাত্ররা, তরুণরা। দুর্ভাগ্য আজকে সে তরুণ ও ছাত্রদের দেখতে পাচ্ছি না’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এক স্কুল ছাত্রের কাছে জানতে চাইলাম তুমি বড় হয়ে কী হবে? সে বলল, রাজনীতিবিদ হতে চাই। উত্তর শুনে অবাক হয়ে বললাম কেন? বাচ্চাটি বলল রাজনীতিবিদ হলে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। আসলে সেই বাচ্চাটির কোনো দোষ নেই। সে দেখেছে ক্ষমতাসীনরা কীভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আর পরিবর্তন আসবে তরুণদের মাধ্যমে।’
‘আমাকে নিয়ে বলা হয়েছে আমার মতো বড় মিথ্যাবাদী নাকি নেই! আমি নাম ধরে কিছু বলতে চাই না। এটি শিষ্টাচার নয়। অবশ্য আওয়ামী লীগ শিষ্টাচারের দল নয়। এরা সন্ত্রাসী দল। এদের সবাই উগ্র। আজকে আওয়ামী লীগ গালিতে পরিণত হয়েছে’— বলেন মির্জা ফখরুল।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি (একাংশ) নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম, এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম, আবু হানিফ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এনএস