রাজশাহীতে এমটিএফইয়ের সিইওসহ গ্রেফতার ২
২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৫৩
রাজশাহী: রাজশাহীতে মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জে (এমটিএফই) প্রতারণার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এদের মধ্যে একজন এমটিএফইয়ের সিইও আছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
এর আগে, গতকাল বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের বিষহরা গ্রামে অভিযান চালিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হলেন— মোহনপুরের বিষহরা গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথ সাহার ছেলে এমটিএফইর সিইও দিপেন্দ্রনাথ সাহা (৪৩)। তার সহযোগী নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার আবদুর রশীদের ছেলে লতিফুল বারি (৪২)।
দিপেন্দ্রনাথ সাহা বাগমারা উপজেলা খালগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বিভিন্ন সভা-সেমিনারের মাধ্যমে লোকজনকে এমটিএফই সম্পর্কে ধারণা দিতেন এবং তাদের প্রভাবিত করতেন।
বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় এ নিয়ে একটি মামলা হয়। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই যৌথ তদন্ত করে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারদের আদালতের হাজির করা হবে। এরপর তাদের রিমান্ড চাইবো। এছাড়া তদন্তে বাকিটা বের হয়ে আসবে।’
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেনেছি— তাদের মাধ্যমে অনেকেই ইনভেস্ট করে প্রতারিত হয়েছেন। তবে প্রতারিতরা কী পরিমাণ ইনভেস্ট করেছেন- সেই বিষয়ে এখনো পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। আশা করছি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এ ব্যাপারে সব তথ্য জানা যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) বিজয় বসাক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলামসহ আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ (এমটিএফই) দুবাইভিত্তিক একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান। এটি অনলাইনে ডেসটিনির মতো এমএলএম ব্যবসা শুরু করেছিল। সারাদেশে এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
গত ২৩ জুলাই আইনজীবী জহুরুল ইসলাম রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। এতে ‘এমটিএফই’ ছাড়াও ‘আলটিমা উইলেট’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা উল্লেখ করা হয়। আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান আরজিটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তিনটি সংস্থার তিনজন কর্মকর্তাকে যৌথভাবে এই মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পর দিন মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়। এর এক মাস পর দুজনকে গ্রেফতার করা হলো।
সারাবাংলা/এমই/এনএস