বাজারে চড়া দাম, চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার পথে মিয়ানমারও
২৫ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৪৫
ভারতের পর চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে মিয়ানমার। দেশটির বাজারে চালের দাম বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তারা এই পথে হাঁটতে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে দেড় মাসের জন্য চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে দেশটি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী মিয়ানমার বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ। বছরে তারা ২০ লাখ টনের বেশি চাল রপ্তানি করে থাকে। সেই দেশটিই অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।
মিয়ানমারের রাইস ফেডারেশনের এক জ্যেষ্ঠ সদস্য বলেন, ‘এ মাসের শেষ থেকে আমরা চাল রপ্তানি সাময়িকভাবে সীমিত করতে চাই। ৪৫ দিনের জন্য রপ্তানি সীমিত করা হতে পারে।’
এর আগে ভারত সরকার গত মাসে বাসমতি ছাড়া বাকি সব চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এতে বিশ্ববাজারে এক কোটি টন বা প্রায় ২০ শতাংশ সরবরাহ কমে চালের। ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার পেছনেও ছিল অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের বাড়তি দাম। দেশটির হিসাববলছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগের এক বছরে ভারতের খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছিল সাড়ে ১১ শতাংশ।
ভারতের মতো বড় রপ্তানিকারক দেশ না হলেও বৈশ্বিক চালের বাজারে মিয়ানমারের অবদান কম নয়। ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই যখন বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে, তখন মিয়ানমারের সিদ্ধান্ত বাজারকে আরও প্রভাবিত করতে বলে মনে করছেন মুম্বাইভিত্তিক চালের এক রপ্তানিকারক। তিনি বলেন, মিয়ানমার রপ্তানি বন্ধ করলে চালের বাজার নিয়ে ক্রেতাদের উদ্বেগ বাড়বে। বাজারও আরও অস্থির হবে।
ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পরই অবশ্য বৈশ্বিক চালের বাজার অস্থির। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের মতো চাল রপ্তানিতে শীর্ষ দেশগুলো চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ভিয়েতনামের চাল প্রতি টনের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৫০ থেকে ৬৬০ ডলারে, থাইল্যান্ডের একই মানের চালের দামও ৬৩০ ডলার। আগের সপ্তাহেই এই চালের দাম ছিল ৬১৫ থেকে ৬২০ ডলার।
সারাবাংল/টিআর