চট্টগ্রামে ২৯ কেন্দ্রে ১ ঘণ্টা দেরিতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু
২৭ আগস্ট ২০২৩ ১১:৩৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: রাতভর অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ২৯টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা একঘণ্টা পিছিয়ে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আছে মহানগরীর সব কেন্দ্র এবং হাটহাজারী উপজেলার দুটি।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও একঘণ্টা পিছিয়ে ১১টা থেকে ২৯টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
দেশের তিনটি শিক্ষাবোর্ড ছাড়া বাকি সব বোর্ডে গত ১৭ আগস্ট থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা দশদিন পিছিয়ে রোববার থেকে শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হচ্ছে।
কোভিড মহামারিকাল পেরিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের এইচএসসি পরীক্ষায় এবার চট্টগ্রাম মহানগরী ও পাঁচ জেলা থেকে অংশ নিচ্ছে এক লাখ দুই হাজার ৪৬৮ জন। গতবছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আট হাজার। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারের কলেজগুলোতে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ২৭৯টি কলেজ থেকে এক লাখ দুই হাজার ৪৬৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরসহ জেলার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭২ হাজার ৬২০ জন। কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৩২১, রাঙামাটিতে ৫ হাজার ৫৪০, খাগড়াছড়িতে ৭ হাজার ১০৮ জন ও বান্দরবান জেলায় ৩ হাজার ৮৭৯ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ১১৩টি। সব কেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। মহানগরে মোট ২৭টি কেন্দ্র। সেগুলোর পরীক্ষা একঘণ্টা পেছানো হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বিভিন্নস্থানে পানি উঠে গেছে, পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে সময় লেগেছে। এছাড়া হাটহাজারীতে সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সেখানে ফতেয়াবাদ কলেজ ও কুয়াইশ কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা একঘণ্টা পিছিয়ে শুরু হয়েছে।’
এদিকে রাতভর অতিবৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। জোয়ারের কারণে সকাল গড়ানোর পরও পানিবন্দি ছিল বিভিন্ন এলাকা। অনেক পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনের সড়কও পানিতে ডুবে ছিল। বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহনও ছিল স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম। এতে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস