Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তালগাছ উপড়ানোয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৪৭

ফাইল ছবি

ঢাকা: সড়ক নির্মাণকালে অন্তত ৩০টি তালগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারা উপড়ে ফেলার ঘটনায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোবাহান হাওলাদারকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রোববার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ.কে.এম. রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি। অন্যদিকে ছিলেন আইনজীবী শেখ মো. সোহেল। আর দৈনিক প্রথম আলোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।

পরে আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি বলেন, তালগাছ নিয়ে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে এক মাসের মধ্যে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার অর্থ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দিতে বলেছেন আদালত। নির্বাহী কর্মকর্তাকে জরিমানাকৃত টাকা দিয়ে সেখানে তালগাছ লাগাতে এবং তা সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করা হবে বলেও তিনি জানান।

সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে তালগাছ উপড়ে ফেলায় পত্রিকায় সম্পাদকীয় প্রকাশ হয়। সেই প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে গত ৭ মে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য হাজির হন। আর ইউএনও প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর রুল শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

গত ৬ মে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে এক সপ্তাহ ধরে এক্সকাভেটর দিয়ে অন্তত ৩০টি তালগাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তালগাছগুলোর বয়স ছিল ২৫ থেকে ৩০ বছর। তালগাছের পাশাপাশি এ সড়কে বন বিভাগের রোপণ করা বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারাও উপড়ে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোবাহান হাওলাদারের নির্দেশে এসব গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। সড়কের পাশে যাঁরা এসব তালগাছ রোপণ করেছেন, তাঁরা ইউপি চেয়ারম্যানের ভয়ে মুখে কিছু না বললেও ভেতরে-ভেতরে ক্ষোভে ফুঁসছেন। ’

ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশ রক্ষায় ও বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে তালগাছ রোপণ করার জন্য প্রচার চালানো হলেও জনপ্রতিনিধিরা তা মানছেন না। শুধু তাই নয়, প্রকৃতিপ্রেমী সাধারণ মানুষের স্বেচ্ছায় লাগানো তালগাছগুলোও তাঁরা রক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না। উল্টো কেউ কেউ সেগুলোর ক্ষতিই করছেন। বীজ থেকে পরিপূর্ণ গাছ হতে দীর্ঘ সময় লাগে একটি তালগাছের। ফলে অনুমতি নিয়েও তালগাছ কাটার কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়। সেখানে অনুমতি ছাড়াই এতগুলো তালগাছ এক সপ্তাহ ধরে এক্সকাভেটর দিয়ে উপড়ে ফেলা হচ্ছে, কিন্তু কারও কোনো খবর হলো না? এসব গাছ বাঁচাতে বন বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসনসহ কেউই এগিয়ে এল না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

ইউপি নির্বাচন টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর