‘তারেক জিয়া মানে হত্যা-ধর্ষণের বাংলাদেশ’
২৯ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪০
সিরাজগঞ্জ: আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের নামে বিএনপি যা করে তা একমাত্র সন্ত্রাসী কার্যক্রম। তারেক জিয়ার বাংলাদেশ অর্থ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পূর্ণিমাকে বাবা-মার সামনে থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা। ছাত্রলীগ কর্মীকে ১০ টুকরো করে হত্যা করা। তারেক জিয়ার বাংলাদেশ মানে দেশজুড়ে হত্যা-ধর্ষণ। তারেক জিয়ার ও খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ মানে লুটপাট-দুর্নীতির বাংলাদেশ, পাকিস্তানের বাংলাদেশ।’
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে শহরের এসএস রোডের আওয়ামী লীগের জেলা আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক ও স্মরণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎ চোর বলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা ক্ষমতায় থাকতে কি ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিলেন? বরং ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। বিদ্যুতের দাবি করা মানুষদের গুলি করে মেরেছেন। মির্জা ফখরুল এখন মিথ্যা ফখরুল হয়ে গেছেন। তিনি সকালে, দুপুর ও সন্ধ্যায় মিথ্যা কথা বলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে প্রথম ভোট চুরি করেছেন জিয়াউর রহমান। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন, জোর করে ক্ষমতা নিয়েছিলেন, শত শত জোয়ানকে হত্যা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। সেই জিয়ার পথ ধরে খালেদা জিয়া বাংলাদেশে জঙ্গি তৈরি করলেন, ব্যালটে সিল মারা শেখালেন।’
বিএনপি সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে পারে উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করতে হবে। যেখানেই বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাবে, সেখানেই সন্ত্রাস মোকাবেলা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে মরিচ ও পেঁয়াজের দাম বেশি। বিএনপির সময়ে একজন রিকশাচালক একদিনের উপার্জনের তিন কেজি চাল কিনতে পারত না, এখন শেখ হাসিনার বাংলাদেশে সেই চালক ১৩-১৪ কেজি চাল ক্রয় করতে পারে।’
রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা থাকলে আমরা থাকব, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ থাকবে, শেখ হাসিনা এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এই আগস্ট মাসেই তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে বৈঠক করে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৩টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল।’
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ তালুকদারের সঞ্চালনায় শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিরাজগঞ্জ- (শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, কাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, তাড়াশ-রায়গঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ সূর্য, আলহাজ্ব ইসহাক আলী প্রমুখ।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ, জেলার সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং সকল উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং উপজেলার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরএ/এনএস