বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রতিবাদ
৩০ আগস্ট ২০২৩ ২২:৪৪
ঢাকা: বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ। দেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেশ ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (৩০ আগস্ট) পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা সম্প্রতি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, বেশকিছু নোবেল লরিয়েট বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর অযাচিতভাবে মন্তব্য করছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থেকে সরকারের সব বিধিবিধান অনুসরণ করে তার প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- এটাই স্বাভাবিক।’
বাংলাদেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও দেশের প্রচলিত আইন-কানুন মেনেই প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এর ব্যত্যয় হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে মনে করেন পেশাজীবী নেতারা। তারা বলেছেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস’র পক্ষে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সম্মানিত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপমূলক একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন। যা খুবই দুঃখজনক।
পেশাজীবী নেতারা নোবেল লরিয়েটসহ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিদের এ ধরনের খোলা চিঠি পাঠানো স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের অপপ্রয়াস বলে মনে করেন এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। নোবেল বিজয়ীদের মানুষ সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো স্বাধীন দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা সকল নাগরিকের জন্য সমান বিধায় কারও পক্ষে প্রভাবান্বিত করতে চাওয়া কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান তারা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন- পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), প্রেসিডিয়াম সদস্য- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. খাবিরুজ্জামান, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর প্রমুখ।
সারাবাংলা/পিটিএম