Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন বিচারকরা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৩

ঢাকা: আদালতের বিচাররকরা সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্ যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের পদধ্বনি ওরা শুনতে পাচ্ছে না। ওরা পচা, গলিত একদলীয় নব্য বাকশালের কদর্যতা, তুচ্ছতা, হীনতা ও নীচতার হিংস্র দুঃশাসন কায়েম রেখে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। তাই আবারও একতরফা নির্বাচন করতে পুলিশের পাশাপাশি আদালতকে করা হয়েছে স্বৈরশাসকের পৈশাচিক প্রবৃত্তির লীলাকেন্দ্র। এখন সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন আদালতের বিচারকরা।’

তিনি বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের মূল্যবোধ ও নীতিকে সমাধিস্থ করে বাকশালী কতৃর্ত্ববাদের নতুন আদর্শ, নতুন ভাবধারা, নতুন রুচি ও নীতি প্রতিষ্ঠা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যার বাস্তব প্রতিফলন আমরা প্রতি মূহুর্তে দেখতে পাচ্ছি। উচ্চ আদালতের বিচারপতির মুখে শুনতে পাচ্ছি, ‘আমরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’।

রিজভী বলেন, ‘সকল মামলায় জামিন পাওয়ার পরও এবং আর কোনো মামলা দায়ের না করার উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্বেও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ব্যাক ডেট দিয়ে পেন্ডিং মামলায় মুন্নাকে আটক রাখার পর আবারও উচ্চ আদালতে রিট করলে তাকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জেল কতৃর্পক্ষ সম্পূর্ণরূপে নীরব।’

তিনি বলেন, ‘আব্দুল মোনায়েম মুন্না এ মূহুর্তে সব মামলা থেকে জামিনপ্রাপ্ত। অথচ তাকে কারাগার থেকে বের হতে দিচ্ছে না জেল কতৃর্পক্ষ। তারা বলছে, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছ থেকে মুক্তির নির্দেশ না পেলে মুন্নাকে ছাড়বে না। এই ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘এ দেশে মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচলের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ নাগরিক স্বাধীনতা এখন শেখ হাসিনার আঁচলবন্দি। পুলিশ ও আদালত এ ক্ষেত্রে আইনের শাসনের বদলে শেখ হাসিনার চোখ রাঙানিকে আমলে নিচ্ছে। শেখ হাসিনার চেতনার স্তরে বিরোধীদল নিশ্চিহ্ন করা ছাড়া আর কিছু নেই। সুবিচারকে তিনি করেছেন দেশছাড়া।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষে তরুণদের যে ঢল নেমেছে তাতে স্নায়ুবিক প্রতিক্রিয়ায় বিহব্বল শেখ হাসিনা। তিনি স্বৈরতন্ত্রের ক্রমোন্নতির ক্রমাগত বিকাশ ঘটাতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এখন চলছে নানা রকমের উদ্দেশ্য ও অভিসন্ধি। অবৈধ আওয়ামী সরকারের আদালত তাই উঠেপড়ে লেগেছে বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে। নতুন নতুন মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রবাহ আটকে নেই।’

রিজভী বলেন, ‘কারাবন্দি নেতাদেরকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রাখার জন্য প্রহসনের আইনী প্রক্রিয়াও তারা আর অবলম্বন করছেন না। এখন গায়ের জোরেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের কারাগারে আটক রাখা হচ্ছে। গ্রেফতারসহ রিমান্ডের নামে উৎপীড়ন এখন বিএনপি নেতা-কর্মীদের কপালের লিখন হয়ে গেছে।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, হাবিবুল ইসলামা হাবিব, সাইফুল আলম নীরব, রফিকুল আলম মজনু, শেখ রবিউল আলম রবি, তানভীর আহমেদ রবিন, এস এম জাহাঙ্গীর, আলী আকবর চুন্নু, গোলাম মাওলা শাহীন, ইউসুফ বিন জলিল কালু, মুসাব্বির আহমেদসহ কারাবন্দি বিএনপি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি চান রুহুল কবির রিজভী।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর