Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাংবাদিক হয়রানি হয় এমন কোনো ধারা রাখা হবে না: আইনমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৯

ঢাকা: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের পরিবর্তে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো প্রকৃত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী হয়রানি হয় এমন কোনো ধারা রেখে আইন পাশ করা হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) আইনটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে। এরপর সেটি জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে যাবে সেখানে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এরপর সেটি সংসদে পাস করা হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ আইনমন্ত্রীসহ উপস্থিত সকলকে পড়ে শোনান। এরপর বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন,  ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বক্তব্য দেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাকেট কিছু কিছু জায়গায় মিস ইউজ ও অ্যাবিউজ হয়েছে। এটি সবার আগে আমি নজরে আনি এবং তা বন্ধে কাজ করি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন তৈরির প্রস্তাব করেছি। সেখানে কোনো সাংবাদিক হয়রানি হবে এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

‘যেসব ধারা নিয়ে আপনারা আপত্তি তুলেছেন সেসব ধারার বিষয়ে আরও কিভাবে সহজ করা যায় এবং সাংবাদিকরা যেন ন্যূনতম হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য স্ট্যান্ডিং কমিটিতে কথা বলব। স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে সাংবাদিক প্রতিনিধি রাখার বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি এবং তিনি সাংবাদিক প্রতিনিধি রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন। সেখানে আপনারা আপনাদের বিষয়ে কথা বলবেন। আমিও বলব।’

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া, আইনের যেসব জায়গায় আপনারা আপত্তি তুলেছেন তা আরও সহজ করার জন্য কিছু কিছু জায়গায় প্রেস কাউন্সিলের প্রতিনিধি যুক্ত করা যায় কিনা তা চিন্তা করা হবে।

সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারায় পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তল্লাশির সময় যেন কম্পিউটার বা মোবাইল নিয়ে যাক কিন্তু তাকে যেন গ্রেফতার করা না হয় এবং প্রয়োজনে প্রমাণ সাপেক্ষে আদালতের সমন জারি যেন করা হয় তা নিয়ে কথা বলা হবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বপরি সাইবার নিরাপত্তা আইন যেন সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করা না হয় এবং সংবাদকর্মীরা যাতে স্বাধীনভাবে লিখতে ও মত প্রকাশ করতে পারে সে ব্যবস্থাই করা হবে।’

পূর্বের মামলাগুলোর বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘পূ্র্বের মামলাগুলো যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা হয় সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পূর্বের মামলাগুলোতে সাজার পরিবর্তে জরিমানা করা হয় এবং সেই জরিমানা যেন পাঁচ বা ছয় লাখ টাকার বেশি করা না হয় সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

প্রস্তাবিত আইনে যারা বা যে ব্যক্তি মিথ্যা মামলা করবেন তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামে গঞ্জে মফস্বলে যেভাবে সাংবাদিকতা হচ্ছে তা মূলত সাংবাদিকতা নয় বরং অপসাংবাদিকতা। এটি প্রকৃত সাংবাদিকতাকে অপমানিত করছে। অপসাংবাদিকতাকে প্রতিরোধ করা হবে এই আইনে।’

সারাবাংলা/ইউজে/ইআ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর