মিতু হত্যা মামলায় আরও ৩ জনের সাক্ষ্য
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:০২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদ খানম মিতু হত্যা মামলায় গত দুইদিনে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন আদালত। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় মোট ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এসময় মামলার আসামি বাবুল আক্তারসহ তিনজন আদালতে হাজির ছিলেন।
সাক্ষ্য দেওয়া মো. মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি বিকাশে লেনদেনের টাকা রিসিভ করেছিলেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আদালতে সাক্ষ্য দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক ও ডিজিটাল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ মো. আবদুল বদি এবং এএসআই সাহাব উদ্দিন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মহানগর পিপি আব্দুর রশীদ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, মিত্যু হত্যা মামলায় আজ মঙ্গলবার বিকাশের টাকা রিসিভ করা মহিউদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর গতকাল সোমবার পিবিআইয়ের দুই সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তিনজনেরই জেরা সম্পন্ন করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত মামলার কার্যক্রম আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মূলতবি করেছেন। এই নিয়ে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্য দেন।
অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে। অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া।
আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।
সারাবাংলা/আইসি/একে