দিনাজপুর: জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায় পাগল কুকুরের কামড়ে দিশেহারা স্থানীয় বাসিন্দারা। গত দুই মাসে এই উপজেলায় প্রায় ৫০ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধাদের সংখ্যাই বেশি।
এ পরিস্থিতিতে দ্রুত পাগল কুকুরগুলো নিধনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) একদিনে প্রায় ২১ জনকে কামড় দিয়ে আহত করেছে পাগল কুকুর। আহতরা ঘোড়াঘাট উপজেলায় চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী।
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরে আজমির ঝিলিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘হঠাৎ করে মাত্র দুইদিনে কুকুর কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ২১ জন রোগী হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী একজন নারীর শরীর থেকে কামড় দিয়ে মাংস তুলে নিয়েছে কুকুর। সকলকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেওয়া হযেছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুদ আছে। কামড়ের স্থানে ক্ষতের ধরণ অনুযায়ী রোগীদের ৩টি গ্রেডে বিভক্ত করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত আগস্টে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে প্রায় ২৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা তাদের সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে অনেকে বাড়ি ফিরে গেছেন।’
ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কুকুর কামড়ে বেশকিছু মানুষের আহত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর আগে পৌরসভার পক্ষ থেকে কুকুর নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা আবারও কুকুর নিধন অভিযানের জন্য আবেদন করেছি। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ লোক নিয়ে এসে এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। খুব দ্রুত কুকুর নিধন করা হবে।’