Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইইউ পার্লামেন্টের প্রস্তাবে ‘হতাশ’ বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপেন্ডেন্ট
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৫৩

ঢাকা: ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ’ জানিয়ে নেওয়া যৌথ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় ‘গভীর হতাশা’ প্রকাশ করেছ সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে অধিকারের’ শীর্ষক একটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার গভীর হতাশা প্রকাশ করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠীর আনা ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশের বিচারাধীন বিষয় এবং ‘অধিকার’-এর দুই কর্মকর্তারা বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে দেওয়া রায়ের বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ ইচ্ছার প্রতিফলন।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের যৌথ প্রস্তাবে প্রতিফলিত পক্ষপাতিত্বের কারণে বাংলাদেশ সরকার হতবাক বলে জানানো হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট অধিকারের ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণিত রেকর্ড রয়েছে। অধিকার সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থাকে উৎসাহিত করে এমন স্বার্থান্বেষী মহলের সহযোগী।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান বিএনপি-জামায়াত সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর কাজ করেছিলেন। তাই ‘অধিকার’ নিজেদের যে নিরপেক্ষ বা স্বাধীন সংস্থা হিসেবে দাবি করে তা সঠিক নয়। দুর্ভাগ্যবশত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ কেউ তাদের নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বলে বিশ্বাস করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, নাগরিক ও গণতান্ত্রিক সুযোগ সমুন্নত রাখার নামে ‘অধিকার’-এর মতো একটি সংস্থাকে সমর্থন করা এবং প্রচার করা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক এবং পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গির সমতুল্য এবং যারা মানবাধিকার রক্ষার কথা বলে তাদের দ্বৈতনীতির স্পষ্ট প্রকাশ। একদিকে ভুক্তভোগী এবং অন্যদিকে অভিযুক্তকে রক্ষা করার জন্য উন্মুক্ত প্রচেষ্টার এটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ইইউ প্রস্তাবের পাঠ্যের সঙ্গে একমত নয়। বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৫০ বছরের দীর্ঘ ও ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির ভিত্তিতে অর্থপূর্ণ সম্পৃক্ততার মাধ্যমে তা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন 

সারাবাংলা/আইই

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর