সবাই মিলে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি: বাণিজ্যমন্ত্রী
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৫
রংপুর: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘আমরা সবাই মিলে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্যের কিছুটা ঘাটতি থাকতে পারে। সেটি কাভার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধা নিচ্ছেন।’
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে দু’দিনের সফরে রংপুরে আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী। নগরীর সেন্ট্রাল রোডের বাসভবনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেঁধে দেওয়া পেঁয়াজ, আলু, ডিমসহ তিনটি কৃষি পণ্যের দাম শক্তভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সব সময় ব্যবসায়ীদের যে চাপে রাখা যায়, তা কিন্তু নয়। আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার দিচ্ছি।’
দেশে উৎপাদিত ডিম ও আলুর দাম নির্ধারণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন যে পণ্যের মজুদ কমে যায় তখন সেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সরকার। সেটা দেশি বা বিদেশি পণ্য হতে পারে। তিন পণ্যের বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হবে। এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যও রয়েছে। এখন ন্যায্য দাম কার্যকর হবে।’
ভোক্তা অধিকারের যথেষ্ট পরিমাণ লোকের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এরপরেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা শক্ত অবস্থানে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মনিটরিং করার। সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তা যেন ঠিক থাকে। আমরা মনে করি না যে, ঘাটতি আছে। কারণ সরকারের হাত অনেক লম্বা। আমরা শক্তহাতেই ব্যাপারটা দেখবো।’
ইলিশ মাছ রফতানি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারা বছর ইলিশ মাছ রফতানি করি না। দুর্গাপূজা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির বড় উৎসব। সারাবছর আমাদের যে পরিমাণ ইলিশ হয় তার থেকে মাত্র ২ শতাংশ ভারতে দেওয়ার চেষ্টা করি। মাছ রফতানির কোনো চিন্তা নেই। এটাকে রফতানি বলা যাবে না। শুভেচ্ছা টোকেন হিসেবে দেওয়া হয়। বছরে ৬ লাখ টন ইলিশ ধরা হয়। সেখান থেকে ৪/৫ হাজার টনের মধ্যেই রফতানি সীমাবদ্ধ থাকে। যা আমাদের দুই দিনের উৎপাদনও নয়।’
সারাবাংলা/এমও