দেশের ইতিহাসে পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ গতিতে চলল ট্রেন
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১০
মুন্সীগঞ্জ: পদ্মা সেতু রেলপথ দিয়ে এবার দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেন চলাচলের মহড়া চলেছে। প্রথমবারের মতো ১২০ কিলোমিটার গতিতে চালানো হয়েছে পরীক্ষামূলক যাত্রীবাহী এ ট্রেনটি। এতে পদ্মা সেতু অতিক্রম করতে সময় লেগেছে মাত্র সাড়ে তিন মিনিট।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মাওয়া-ভাঙ্গা দ্রুতগতির পরীক্ষামূলক এ ট্রেনটি পর্যায়ক্রমে গতি বাড়িয়ে চার দফা চলাচল করে। পাঁচটি বগি নিয়ে ট্রেনটি প্রথমে ভাঙ্গা থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে পদ্মা সেতু হয়ে ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মাওয়া পৌঁছায় ৫১ মিনিটে। ফিরতে গিয়ে সেখান থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে ভাঙ্গা পৌঁছেছে ৪১ মিনিটে।
পরে আবার ভাঙ্গা থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি মাওয়া পৌঁছায় ৩৪ মিনিটে। সবশেষ চতুর্থ দফায় মাওয়া থেকে ১১টা ১৭ মিনিটে ১২০ কিলোমিটার গতিতে আবার ভাঙ্গা পৌঁছায় ১১টা ৪৭ মিনিটে। এতে সময় লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টম্বর) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে প্রথম ট্রেনটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে সকাল ৯ টা ৬ মিনিটে মাওয়া এসে পৌঁছায়। পরীক্ষামূলক এই ট্রেনের গতিসীমা ছিলো ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।
পরবর্তীতে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে মাওয়া রেল স্টেশন থেকে আবার পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সে সময়ে ট্রেনের গতিসীমা নির্ধারণ করা হয় ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।
এরপর ১০ টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে আবার ছাড়ে ট্রেন। সে সময়ে গতিসীমা নির্ধারণ করা হয় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে রেল চলাচলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে। এর মাধ্যমে রেলপথে নতুন এক গতির জগতে প্রবেশ করল বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু রেলপথ দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/একে
