Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘হারুনকাণ্ড’ তদন্তে আরও ৭ দিন সময় চায় ডিএমপির কমিটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৯

এডিসি হারুন (বাঁয়ে), সানজিদা (মাঝে) ও এপিএম মামুন

ঢাকা: সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদের নির্দেশে ও উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় নির্ধারিত দুই কার্যদিবসের পর অতিরিক্ত পাঁচ কর্মদিবস সময় নিয়েও তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটি। তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সাত কর্মদিবস সময় চেয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত শেষ করতে কমিটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরও সাতদিনের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য এবং ডিএমপি সদর দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ডিএমপি কমিশনার সাতদিন সময় বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন কি না, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সে তথ্য জানা যায়নি।

আরও পড়ুন- হারুন-সানজিদা-মামুন— সবার দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি

এদিকে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএমপির উপকমিশনার (অপারেশন) আবু ইউসুফের মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে। জানা যায়, ওই দিন সানজিদা আফরিন বারডেমে ডাক্তার দেখানোর জন্য এডিসি হারুনের সহায়তা নেন। যখন তার ইটিটি করা হচ্ছিল, ওই সময় তার স্বামী মামুন সেখানে হাজির হন। এ সময় মামুনের সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগের নেতারা। সেখানে হারুনের সঙ্গে মামুন ও ছাত্রলীগ নেতাদের কথা কাটাকাটি থেকে একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সানজিদা পরে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মামুনই আগে এডিসি হারুনের গায়ে হাত তুলেছিলেন

আরও পড়ুন- ডিএমপির অপরাধ পর্যালোচনা সভায় হারুন-সানজিদা প্রসঙ্গ

এদিকে এ ঘটনার পর এডিসি হারুন শাহবাগ থানা পুলিশকে দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রচণ্ড শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে দেশজুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা হয়।

এ ঘটনা তদন্তেই তিন সদস্যের কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দপ্তরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। বাকি দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা, মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন- হারুন-সানজিদার বক্তব্য নেওয়া শেষ, এখন মামুনের পালা

তদন্ত কমিটিতে প্রথমে দুই কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য। তবে এর মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে কমিটি আরও পাঁচ দিন সময় চেয়ে নেয়। সেই সময় শেষে আজ মঙ্গলবার প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল কমিটির। কিন্তু কমিটি এদিনও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।

এদিকে ওই ঘটনার জের ধরেই গত ১০ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট শাখায় সংযুক্ত করে ডিএমপি। দুপুরে তাকে প্রত্যাহারের এ আদেশ হলেও পরে সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আরেক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে পদায়ন করা হয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে

এর পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর আবার এডিসি হারুন-অর-রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়। তাতে বলা হয়, এডিসি হারুনকে পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে পরদিনই বদলে যায় সে আদেশ। একই শাখা থেকে ১২ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হারুনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

আজিজুল হক মামুন এডিসি হারুন এপিএস মামুন ডিএমপি তদন্ত কমিটি সানজিদা আফরিন হারুন অর রশিদ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভূতের গলির বাসায় মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০০

সম্পর্কিত খবর