আদিলুরের দণ্ডাদেশ নিয়ে ‘অপতৎপরতা’য় ১৫৫ নাগরিকের উদ্বেগ
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:০১
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের দণ্ডাদেশ নিয়ে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলের বিবৃতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক ও সাংবাদিকসহ দেশের ১৫৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী। এসব গোষ্ঠীর ‘অপতৎপরতা’ সম্পর্কে দেশের বিবেকবান নাগরিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এসব বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক আলভীর সই করা এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়। বিচার বিভাগের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে বিশেষ মহলের অপচেষ্টা চলছে উল্লেখ করে এতে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- হেফাজতকাণ্ড: আদিলুর-এলানের ২ বছর করে কারাদণ্ড
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৪ সেপ্টেম্বর অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনকে দুই বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও একটি মহল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। আমরা মতপ্রকাশের অধিকারকে সমুন্নত রাখা যেমন অপরিহার্য বলে মনে করি, তেমনি মতপ্রকাশের অধিকারের অজুহাতে যেন মানবতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও তাদের সাম্রাজ্যবাদী দোসররা নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার সুযোগ না পায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই রায় প্রকাশের পর বিতর্কিত, উগ্রবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সুরে দেশি-বিদেশি কিছু সম্মানিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিবাদ করার বিষয়টি বিস্ময়কর। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো— এসব ব্যক্তি ও সংগঠন বাংলাদেশের উগ্র সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর জন্য উদ্বিগ্ন হলেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা ও বিচারক হত্যার মাধ্যমে সারাদেশে জেএমবি কর্তৃক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম এবং নিরীহ মানুষ হত্যার বিষয়ে নিশ্চুপ থাকেন। এ থেকে বোঝা যায়, এসব দেশি-বিদেশি মহল বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী ও উগ্রজঙ্গিবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক। সময়ে সময়ে তাদের তথাকথিত বিবেক জাগ্রত হয়।
সারাবাংলা/টিআর