অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের পিএস’ আটক
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:১৫
যশোর: যশোরের মণিরামপুরে সাজিদ হাসান (৪০) নামে একজনকে অপহরণের পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ সাজিদকে উদ্ধার ও অপহরণে জড়িত অভিযোগে আশিকুর রহমান (৩৫) নামে একজনকে আটক করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অপহরণের ওই ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটক করে। পরে এ ঘটনা মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঘটনাটি জানাজানি হয়েছে।
অপহরণের শিকার সাজিদ হাসান ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কাজী মাহমুদুল হাসানের ছেলে। তিনি মেসার্স আর্থ প্রাইভেট লিমিটেডে চাকরি করেন। অপহরণের অভিযোগে আটক আশিকুর রহমান উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামের মিজানুর রহমান খানের ছেলে। তিনি মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানমের ব্যক্তিগত সহকারী। তবে নাজমা খানমের দাবি, আশিককে জুলাই মাসে তার ব্যক্তিগত সহকারী পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার মেসার্স আর্থ প্রাইভেট লিমিটেডের কাজে মণিরামপুরে যান সাজিদ হাসান। ওই দিন বিকেলে অস্ত্র ঠেকিয়ে আশিকুর রহমানসহ তিনজন সাজিদকে অপহরণ করে পৌরসভার গোহাটা মোড়ের একটি বাড়িতে আটকে রাখেন। এ সময় তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাজিদ হাসানকে উদ্ধার এবং আশিককে আটক করে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কাজল বিশ্বাস জানান, তিনি ২০২২-২৩ অর্থবছরে মণিরামপুর, বাঘারপাড়া ও ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৩৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রকল্প পান। এরই মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সে অনুযায়ী সোমবার ঢাকা থেকে বিশেষ কাজে প্রতিষ্ঠানের স্টাফ সাজিদ হোসেনকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাসের কাছে পাঠান। বিকেলের পর থেকে তার সঙ্গে সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে তিনি চিন্তায় পড়েন। রাত ১০টার পর আশিকুর তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় আশিকুরের কাছে স্টাফকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও কাজে আসেনি। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশে খবর দেন তিনি। পরে রাতেই মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ অভিযান চালায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম সাংবাদিকদের বলেন, গত জুলাই মাসেই আশিকুর রহমানকে আমার পিএসের দায়িত্ব থেকে বাদ দিয়েছেন। তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আশিকসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাজিদ।
সারাবাংলা/টিআর