দেশে ই-স্পোর্টস প্রসারে কাজ করতে চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩১
ঢাকা: খেলাধুলার নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা সারাবিশ্বে এরইমধ্যে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করতে পেরেছে। আগামীদিনে আরও এগিয়ে যেতে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টস প্রসারে কাজ করতে চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আহ্বান জানায় বেসরকারি এই সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে এমএলটি ফাউন্ডেশনের (MLT-Magnificent Legendary Treasures Foundation) চিফ অপারেটিং অফিসার ইন অনিক মৃধা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ই-স্পোর্টস হলো একটি ইলেকট্রনিক খেলাধুলার মাধ্যম, যেখানে অন্যান্য খেলার মতোই পেশাদার খেলোয়াড়রা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কোনো খেলা খেলে অংশগ্রহণ করে প্রতিযোগিতায় যেতে পারেন। এ ছাড়া এটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক খেলার মধ্যে স্পোর্টস জুড়ে থাকতে পারে, যেমন ই-স্পোর্টস ট্রেনিং, প্রতিযোগিতা এবং দর্শনীয় ইভেন্ট। এটি অনলাইনে তথা কম্পিউটার বা মোবাইল গেমসে ব্যাপকভাবে প্রয়োজনীয় হতে পারে।’
বিশ্বে এখন ই-স্পোর্টস বিশেষজ্ঞ প্রতিযোগিতা, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড়েরা এবং ই-স্পোর্টস ইভেন্ট সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পুরো বিশ্বজুড়েই এই শ্রেণির খেলাধুলার পরিধি ব্যাপকভাবে বাড়ছে এবং ই-স্পোর্টস একটি প্রতিষ্ঠিত খেলা হিসেবে স্থায়ীভাবে নিজের স্থান করে নিয়েছে। ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট, লীগ, এবং ইভেন্ট ব্র্যান্ডিং এবং প্রচারে নতুন অবস্থান পেয়েছে। এটি আরও বেশি লোকের প্রশংসা পাচ্ছে। বর্তমানে ই-স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সরাসরি ও পারিপার্শ্বিকভাবে ২৫টি ইন্ডাস্ট্রি জড়িত আছে। যা ভবিষ্যতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, ‘২০১৯ থেকে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। আধুনিক প্রতিযোগিতার মধ্যে মোবাইল গেমিং এবং ক্রিকেটের মধ্যে ই-স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে। যা একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বেশি প্রচলিত। বিশ্বের বিভিন্ন ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট এবং লীগে বাংলাদেশি বিভিন্ন টিম অংশগ্রহণ করছে।’
দেশে অবসরের সময়ে ই-স্পোর্টস প্রচুর জনপ্রিয় হতে পারে। দেশে বেশি গেমার থাকলে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রতিযোগিতায় ভালো করতে পারে। একই সঙ্গে ই-স্পোর্টস বিশেষজ্ঞ টুর্নামেন্ট এবং ইভেন্টের প্রচার রায় বৃদ্ধি পেতে পারে। যা বাংলাদেশের ক্রীড়া প্রশাসন ও নৈতিক সমর্থনের মাধ্যমে সম্ভব।
প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও সফটওয়্যার উন্নতি, প্রশাসনিক সমস্যা সমাধান এবং নৈতিক মানদণ্ড, ব্যবসায়িক সমর্থন বৃদ্ধি পেলে দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা, বেকারত্ব দুরীকরণ, সংগীত, ইলেক্ট্রনিক্স, বিদেশি বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ই-স্পোর্টস প্রতিষ্ঠান এবং টিম প্রচুর উন্নতি করতে পারে। যেটি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য ক্যারিয়ার সৃষ্টির দিকে নতুন সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আগামী দিনে আরও এগিয়ে যেতে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের প্রসারে কাজ করতে চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন।
এমএলটি ফাউন্ডেশনের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে— যুবক ও মধ্যবিত্তদের নিয়ে কাজ করা। যার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সম্ভাবনাসমূহ কাজে লাগিয়ে মধ্যবিত্ত ও বেকার যুবকেরা সাবলিলভাবে জীবন যাপন করতে পারে। ই-স্পোর্টসের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনে বেকার ও মধ্যবিত্ত যোগ্যতাপূর্ণ ব্যক্তির কাজের সুযোগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ জন্য এমএলটি ফাউন্ডেশন কাজ করতে চায়।
অনিক মৃধা লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ইস্পোর্টস সংস্থা যথা বাইডেসা (বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট এন্ড ইলেকট্রনিক স্পোর্টস অ্যাসোশিয়েশন) যারা পাবজি গেম আনব্যান সহ ই-স্পোর্টস নীতিমালা গঠন ও সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করছেন। আমরা তাদের অন্তর্গত থেকে যতটুকু সম্ভব বাংলাদেশের ই-স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রির উন্নতিতে নিজেদের নিয়োজিত রাখব।
সংবাদ সম্মেলনে এমএলটি ফাউন্ডেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে