Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে ই-স্পোর্টস প্রসারে কাজ করতে চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩১

ঢাকা: খেলাধুলার নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা সারাবিশ্বে এরইমধ্যে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করতে পেরেছে। আগামীদিনে আরও এগিয়ে যেতে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টস প্রসারে কাজ করতে চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আহ্বান জানায় বেসরকারি এই সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে এমএলটি ফাউন্ডেশনের (MLT-Magnificent Legendary Treasures Foundation) চিফ অপারেটিং অফিসার ইন অনিক মৃধা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ই-স্পোর্টস হলো একটি ইলেকট্রনিক খেলাধুলার মাধ্যম, যেখানে অন্যান্য খেলার মতোই পেশাদার খেলোয়াড়রা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কোনো খেলা খেলে অংশগ্রহণ করে প্রতিযোগিতায় যেতে পারেন। এ ছাড়া এটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক খেলার মধ্যে স্পোর্টস জুড়ে থাকতে পারে, যেমন ই-স্পোর্টস ট্রেনিং, প্রতিযোগিতা এবং দর্শনীয় ইভেন্ট। এটি অনলাইনে তথা কম্পিউটার বা মোবাইল গেমসে ব্যাপকভাবে প্রয়োজনীয় হতে পারে।’

বিশ্বে এখন ই-স্পোর্টস বিশেষজ্ঞ প্রতিযোগিতা, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড়েরা এবং ই-স্পোর্টস ইভেন্ট সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পুরো বিশ্বজুড়েই এই শ্রেণির খেলাধুলার পরিধি ব্যাপকভাবে বাড়ছে এবং ই-স্পোর্টস একটি প্রতিষ্ঠিত খেলা হিসেবে স্থায়ীভাবে নিজের স্থান করে নিয়েছে। ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট, লীগ, এবং ইভেন্ট ব্র্যান্ডিং এবং প্রচারে নতুন অবস্থান পেয়েছে। এটি আরও বেশি লোকের প্রশংসা পাচ্ছে। বর্তমানে ই-স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সরাসরি ও পারিপার্শ্বিকভাবে ২৫টি ইন্ডাস্ট্রি জড়িত আছে। যা ভবিষ্যতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘২০১৯ থেকে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। আধুনিক প্রতিযোগিতার মধ্যে মোবাইল গেমিং এবং ক্রিকেটের মধ্যে ই-স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে। যা একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বেশি প্রচলিত। বিশ্বের বিভিন্ন ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট এবং লীগে বাংলাদেশি বিভিন্ন টিম অংশগ্রহণ করছে।’

দেশে অবসরের সময়ে ই-স্পোর্টস প্রচুর জনপ্রিয় হতে পারে। দেশে বেশি গেমার থাকলে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রতিযোগিতায় ভালো করতে পারে। একই সঙ্গে ই-স্পোর্টস বিশেষজ্ঞ টুর্নামেন্ট এবং ইভেন্টের প্রচার রায় বৃদ্ধি পেতে পারে। যা বাংলাদেশের ক্রীড়া প্রশাসন ও নৈতিক সমর্থনের মাধ্যমে সম্ভব।

প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও সফটওয়্যার উন্নতি, প্রশাসনিক সমস্যা সমাধান এবং নৈতিক মানদণ্ড, ব্যবসায়িক সমর্থন বৃদ্ধি পেলে দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা, বেকারত্ব দুরীকরণ, সংগীত, ইলেক্ট্রনিক্স, বিদেশি বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ই-স্পোর্টস প্রতিষ্ঠান এবং টিম প্রচুর উন্নতি করতে পারে। যেটি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য ক্যারিয়ার সৃষ্টির দিকে নতুন সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আগামী দিনে আরও এগিয়ে যেতে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের প্রসারে কাজ করতে চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন।

এমএলটি ফাউন্ডেশনের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে— যুবক ও মধ্যবিত্তদের নিয়ে কাজ করা। যার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সম্ভাবনাসমূহ কাজে লাগিয়ে মধ্যবিত্ত ও বেকার যুবকেরা সাবলিলভাবে জীবন যাপন করতে পারে। ই-স্পোর্টসের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনে বেকার ও মধ্যবিত্ত যোগ্যতাপূর্ণ ব্যক্তির কাজের সুযোগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ জন্য এমএলটি ফাউন্ডেশন কাজ করতে চায়।

বিজ্ঞাপন

অনিক মৃধা লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ইস্পোর্টস সংস্থা যথা বাইডেসা (বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট এন্ড ইলেকট্রনিক স্পোর্টস অ্যাসোশিয়েশন) যারা পাবজি গেম আনব্যান সহ ই-স্পোর্টস নীতিমালা গঠন ও সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করছেন। আমরা তাদের অন্তর্গত থেকে যতটুকু সম্ভব বাংলাদেশের ই-স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রির উন্নতিতে নিজেদের নিয়োজিত রাখব।

সংবাদ সম্মেলনে এমএলটি ফাউন্ডেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

ই স্পোর্টস খেলাধূলা