Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফ্রান্সের চ্যান্সেরি ভবন আধুনিক করতে পরামর্শক ব্যয় ২৪ কোটি টাকা

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:১০

ঢাকা: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বাংলাদেশ যে চ্যান্সেরি ভবন কিনেছিল, সেটি স্মার্ট ও আধুনিক সময়োপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চ্যান্সরি ভবনটি সংস্কারের এই উদ্যোগে প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭০ কোটি টাকার। এর মধ্যে ভবনের নকশা ও তত্ত্বাবধানসংক্রান্ত পরামর্শকের পেছনে খরচ হবে ২০ কোটি টাকা। অন্যদিকে আইনি সেবা পরামর্শক খাতে খরচ চার কোটি টাকা। অর্থাৎ ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগে পরামর্শকেই খরচ ধরা হয়েছে ২৪ কোটি টাকা, যা প্রকল্পের প্রায় সাত ভাগের এক ভাগ।

বিজ্ঞাপন

‘ফ্রান্সের প্যারিসে ক্রয়কৃত চ্যান্সেরি ভবনটি রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী উন্নত, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী দূতাবাস হিসাবে ব্যবহাররোপযোগী করার জন্য সংস্কার ও আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি এরই মধ্যে প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে কমিশন কোনো কথা বলেনি। তবে আগামী ২ অক্টোবর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটর (পিইসি) সভা হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবনায় পরামর্শকদের টার্মস অব রেফারেন্স না থাকায় ওই সভায় এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্যারিসের ১৪ রু অক্টাভ ফিউলেটে অবস্থিত চ্যান্সেরি ভবনটি সংস্কারের প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, মেয়াদ ধরা হয়েছে দুই বছর। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সারাবাংলাকে বলেন, পিইসি সভায় আমারা পরামর্শক ব্যয় নিয়ে আলোচনা করব। পরবর্তী আলোচনায় সিদ্ধান্ত হবে পরামর্শক লাগবে কি না।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে উত্তরাধিকার, বন্ধুত্ব ও সংহতি বিরাজ করছে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ। ফ্রন্সের প্রেসিডেন্ট মেটার্নডের ১৯৯০ সালের বাংলাদেশ পরিদর্শনের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। পরে ১৯৯৯ ও ২০১১, ২০১৭ ও ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রান্স সফর করেন। ইউারোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে ফ্রান্স বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহায়তাও দেয়।

প্রকল্প প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ২৭৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ভূমি কিনেছে। কিন্তু সেখানে তেমন আধুনিক কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারেনি। দূতাবাস ভবনটি ১০০ বছরের পুরনো। এটি একটি দর্শনীয় স্থান। সেখানে প্রায় ১০০ একরের মতো জায়গা রয়েছে। এর আশপাশেই রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক দফতর ও স্থাপনা। এ কারণে প্যারিসে বাংলাদেশের চ্যান্সেরি ভবনটির আধুনিকায়ন জরুরি।

এই প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়েই গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এক সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চ্যান্সেরি ভবন আধুনিকায়নের জন্য দ্রুত একটি প্রকল্প প্রস্তাবের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পনা কমিশনে চ্যান্সেরি ভবনের প্রকল্পটি প্রস্তাব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা কমিশনের মতামত
পরামর্শক (নকশা ও তত্ত্বাবধান) ২৪ জন-মাস বাবদ ২০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। পরামর্শক (আইনি পরামর্শ) ২৪ জন-মাস বাবদ চার কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) পরামর্শকদের টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এ ছাড়া অন্যান্য ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণ ১৫০০ বর্গমিটার বাবদ ১৪০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ বর্গমিটার নির্মাণ ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। কীসের ভিত্তিতে এ ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে তা নিয়ে সভায় প্রশ্ন করা হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র। এ ছাড়া রাজস্ব খাতে বিজ্ঞাপন বাবদ ৩৫ লাখ টাকা খরচ রাখা হয়েছে। এটিও বেশি মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন। এসব বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

গুলশানে দুইজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫

ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩

সম্পর্কিত খবর