Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি ‘মায়ের কান্না’র

সারাবাংলা ডেস্ক
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:০৩

দিনাজপুর: জিয়াউর রহমান সেনা ও বিমানবাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে চাকরিচ্যুত, কারাদণ্ড প্রদান ও হত্যা করেছে দাবি করে তার মরোণোত্তর বিচার দাবি করেছে ‘মায়ের কান্না’ নামের একটি সংগঠন।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সংগঠনটির পক্ষে এ দাবি করেন বক্তারা। এদিন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নি সন্ত্রাসের ভুলুণ্ঠিত মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক। আলোচনা সভার আগে গণদাবি-৭৭ এবং অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ নামক দু’টি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করে। বক্তারা অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরীচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল মানবতা?’ তিনি জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি’ আখ্যায়িত করেন এবং তার সময় ‘গুম, খুন ও বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয়’ উল্লেখ করে বলেন, ‘তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।’

ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমান বাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী। এছাড়া অবৈধ গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এমনকি ‘গুম, খুন ও অগ্নি সন্ত্রাসকারী দল’ যাতে আগামীতে আর কখনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আগত ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান এক হাজার ১৫৬ জন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করে।’ এ পরিপ্রেক্ষিতে জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর অপসারণের দাবি জানান তারা।

ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরবর্তী সময়ে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করেন নিরপরাধ সামরিক সদস্যদের। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, হুইপ ইকবালুর রহিম, একুশের পদকপ্রাপ্ত মানবাধিকারকর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, দীপ্ত টিভির সিইও ফুয়াদ হাসান, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতুফুজ্জামান মিতাসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

সারাবাংলা/পিটিএম

জিয়াউর রহমান টপ নিউজ বিচার দাবি মায়ের কান্না


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর