নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ফ্রান্স
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:৩৯
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার এবং সকল সামরিক সহযোগিতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশটি থেকে ফরাসি সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ফ্রান্স ২ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।
নাইজার ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ। আফ্রিকার বৃহত্তম স্থলবেষ্টিত দেশটিতে ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। গত ২৬ জুলাই নাইজারে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এই অভ্যুত্থানের সমালোচনা করেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ বাজুমকে সমর্থন করে নতুন সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ম্যাক্রোর সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাইজার জান্তা সরকার ফ্রান্সের সেনা ও রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেয়। নাইজারের জান্তা সরকার ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করলেও তিনি এতদিন দেশটি ত্যাগ করেননি।
তবে এবার রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ম্যাক্রো। রোববার তিনি বলেন, নাইজার থেকে ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।
তিনি আরও জানান, নাইজারে সামরিক সহযোগিতা সমাপ্ত হয়েছে, এবং ফরাসি সৈন্যরা আগামী মাসগুলোতে নাইজার থেকে চলে যাবে। উল্লেখ্য, নাইজারে প্রায় ১৫০০ ফরাসি সেনা রয়েছে।
নাইজার থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ফ্রান্সের আফ্রিকা নীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের আভাস। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাবেক উপনিবেশ মালি ও বুরকিনো ফাসো থেকেও সেনা প্রত্যাহার করেছে প্যারিস। এই দুই দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তা সরকারকে স্বীকৃতি না দিয়ে ফ্রান্স সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
পরে আফ্রিকায় জিহাদিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সহযোগিতার জন্য ওই অঞ্চলের নেতাদের অনুরোধে নাইজারের সাহেল অঞ্চলে প্রায় ১৫০০ সেনা মোতায়েন করে ফ্রান্স। তবে নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ওই দেশ থেকেও সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে প্যারিস।
সারাবাংলা/আইই