বিশ্ব পর্যটন দিবসে ৪ দিনের ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩১
ঢাকা: বিশ্ব পর্যটন দিবসকে সামনে রেখে চার দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করতে যাচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই উৎসব শুরু হবে। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ বছরের প্রতিপাদ্য এবারের প্রতিপাদ্য ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট’ বা পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনের জন্য আমরা প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এ ধরণের আয়োজন করার পরিকল্পনা করছি। এই উৎসব হবে একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে বাংলাদেশের সব পর্যটন আকর্ষণ জানার সুযোগ তৈরি হবে। ফেস্টিভ্যালটি বাংলাদেশের সব ঐতিহ্যকে যেমন আপনার কাছে উপস্থাপন করবে তেমনি অপরূপ এই বাংলার আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ানোর সব সুযোগ সুবিধা তুলে ধরবে।
জানা যায়, ‘মুজিব’স বাংলাদেশ’ প্রচারণার অংশ হিসাবে ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ফেস্টিভালের উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় হয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হবে। র্যালিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেবেন।
আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের জানান, এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্ট, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ট্যুরিস্ট-ভেসেল, ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটরের পাশাপাশি কয়েকটি জেলার পর্যটন পণ্য ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানও এই উৎসবে অংশ নেবে। দেশব্যাপী পর্যটনের নানান অফার ও আয়োজন থাকবে এ উৎসবে।
তিনি আরও জানান, চার দিনব্যাপী এই ফেস্টিভ্যালে ২০টি হোটেল রিসোর্ট, অঞ্চলভিত্তিক খাবারের স্টল ৭০ টি, ডিস্ট্রিক্ট ব্রান্ডিংয়ের আওতায় ২৯টি জেলা, ক্রাফট স্যুভিনিয়র ২৬টি, এয়ারলাইন্স দুইটিসহ বিনোদন পার্ক, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, বিদেশি দূতাবাসসহ ১৬০টির অধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এ উৎসবে আয়োজন থাকবে বিভিন্ন দেশের খাবারসহ বাংলাদেশের অথেন্টিক ও ঐতিহ্যবাহী খাবার।
দেশি-বিদেশি ইউনিক ও অথেন্টিক খাবার সম্পর্কে জানার এবং উপভোগ করার সুযোগ থাকবে উৎসবে। দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে থাকবে জামতলার সাদেক গোল্লা, নরসিংদি জেলার নকশি পিঠা, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, কুষ্টিয়ার কুলফি, পুরান ঢাকার হাজীর বিরিয়ানি, বাকরখানি, মুক্তাগাছার মণ্ডা, চট্টগ্রাম এর মেজবান, খুলনার চুইঝাল, বিসমিল্লাহর কাবাব, কুমিল্লার রসমালাইসহ ৬৪টি জেলা থেকে ৭০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী ফুড স্টল। এ উৎসবে তাঁত, জামদানি তৈরির প্রক্রিয়া দেখা যাবে। থাকবে ঐতিহ্যবাহী মসলিন পুনরুদ্ধার হওয়ার গল্প এবং মসলিন তৈরি প্রক্রিয়ার প্রদর্শন।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটক ও পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা, আবাসন, এভিয়েশন, পর্যটন খাতে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা এবং পর্যটনশিল্পে নারীর অংশগ্রহণ, প্রত্নপর্যটন, খাদ্যপর্যটন, পর্যটন ও এভিয়েশন সাংবাদিকতা, প্লাস্টিক ফ্রি সেন্টমার্টিন ইত্যাদি বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
চারদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে গম্ভীরা, সিলেটের আঞ্চলিক গান, গাজী কালুর পট, পথ নাট্য, বাউল গান, পুথি পাঠ, কাওয়ালী এবং বিশিষ্ট শিল্পীগণের গানের আয়োজন ইত্যাদি। এছাড়াও ট্যুরিজমে সুন্দরী প্রতিযোগিতার উপর বিশেষ আয়োজন থাকবে বাংলাদেশ ফেস্টিভালের চতুর্থ দিন অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর।
সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ