Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সময়মতো নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে: ইসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৪০

মো. আলমগীর, ফাইল ছবি

ঢাকা : নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, আগামী জানুয়ারি ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। এটি যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন করার জন্য, প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। প্রস্তুতি কিন্তু আগে থেকে নিতে হয়। যেমন ভোটার তালিকা করতে হবে, ভোটকেন্দ্র করতে হবে। যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যালট পেপার কেনার জন্য কাগজ প্রকিউরমেন্ট করতে হবে। নির্বাচন করার জন্য বাক্স লাগবে, সেগুলো কিনতে হবে, কালি লাগবে। সুই, সুতা নানা জিনিস লাগবে। এখন নির্বাচন ডিসেম্বরে না কি জানুয়ারিতে হবে সেটি পরের বিষয়। নির্বাচন যখনই করেন। আপনাকে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই রাখতে হবে।’

ইসি আলমগীর আরও বলেন, ‘আমরা তো একটি শপথ করেছি, না কি? আমরা কিন্তু সরকারি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী না। আমরা কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছি এবং সংবিধানের দোহাই শপথ নিয়েছি। সেই শপথ তো আমাদের পূরণ করতে হবে।’

রাজনৈতিক দলগুলো কী ভোটের পথে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট আছে। নির্বাচন চায় না এমনটি তো কোনো দল বলছে না। আমাদের নিবন্ধিত যে রাজনৈতিক দল আছে কোনো দলই নির্বাচন চায় না এটি বলেনি। আমরা কেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব না।’

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে পরিবেশ নিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে হয়তো অনেকে কথা বলছেন। পরিবেশ যেন সুন্দর করা যায় তার জন্য চেষ্টা করব। পরিবেশের সবটা সুন্দর করার দায়িত্ব তো আমাদের না। পরিবেশ সুন্দর করা আমাদের যেটুকু দায়িত্ব সেটুকু আমরা করে যাচ্ছি।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

ইসি নির্বাচন কমিশন সিইসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর