‘৫ বছরে ঢাকাসহ বড় শহর হবে বৈদ্যুতিক তার মুক্ত’
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:২২
ঢাকা: বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আবার সরকার গঠনের সুযোগ পেলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলো তার মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ঢাকার আশপাশ সব চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা শহরের বৈদ্যুতিক তার আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি ৩ নং রোডে ডিপিডিসি’র জিটুজি প্রকল্পের ভূ-গর্ভস্থ বিতরণ ব্যবস্থার চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শক শেষে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, ‘ধানমণ্ডি ৩ নম্বর রোডের সব তার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এটা এখন মাটির নিচ দিয়ে চলে গেছে। প্রকল্পটি ৪ বছর আগে গ্রহণ করা হয়েছিল। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের যে লক্ষ্যমাত্র, তা এর মাধ্যমে শুরু করা হলো।’
তিনি বলেন, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড করার ফলে লোড নিয়ে কাজ করা যায়, লোড কন্ট্রোল করা যায়। গ্রাহক সেবার মান উন্নত হয়। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য পুরো ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোকে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলে নিয়ে যাওয়া। ইতোমধ্যে তার প্ল্যান করা হয়ে গেছে। কোভিডের কারণে আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম, তাই এখন দ্রুতগতিতে সব সম্পন্ন করতে হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ক্যাবলের জন্য গাছ কাটতে হতো, ঝড়ে তার ছিঁড়ে যেত। ফলে বিভিন্ন স্থানে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। তবে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল করার ফলে এমন হওয়ার আর আশঙ্কা নেই। এতে করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের তার আন্ডারগ্রাউন্ড হলেও ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেটের তারগুলো আন্ডারগ্রাউন্ড হয়নি। আমরা তাদের বলেছি দ্রুত যেন তারাও আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়। এতে করে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।’
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘ধানমণ্ডি এলাকার ৩৪টি রোডের ওভারহেড বিতরণ লাইন আক্তারাউন্ড লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। এই এলাকার বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৩০ মেগাওয়াট। আগামী ২৫ বছরের লোড গ্রোথ বিবেচনায় এই এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ডিজাইন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৮টি রাস্তার আন্ডারহাউন্ড লাইনে রূপান্তরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১১টি রাস্তার আন্ডার লাইনে রূপান্তরের কাজ চলমান আছে। আগামী বছরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি।’
সারাবাংলা/জেআর/এনএস