চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:২০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব আর কিছুদিন পরই। এ উপলক্ষে সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জের মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। শিল্পীরা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে, তাদের অভিজ্ঞ হাতের নিপুণতায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মা দুর্গাকে।
আয়োজকদের প্রত্যাশা জাঁকজমকপূর্ণ পূজা আয়োজনের। এবার জেলা জুড়ে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে ১৫৮টি পূজা মণ্ডপে। জেলা শহরের হুজরাপুর মহল্লার গুড়িপাড়া কালিমন্দির, বড় ইন্দারা মোড়ের প্রতাপ চন্দ্র দাস দেবোত্তর দুর্গা মন্দির, শিবতলার চরজোতপ্রতাপ দুর্গামাতা ঠাকুরাণী মন্দির, হুজরাপুর জোড়ামঠ দুর্গা মন্দির, ঝিলিম রোডের কৃচ্চণ ঠাকুর দুর্গা মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় একটু একটু করে মা সেজে উঠছেন আপন ঐশ্বর্যে।
আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠিকতা। আর ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল আনুষ্ঠানিকতা। তাই হাতে একদমই সময় নেই প্রতিমা কারিগরদের। তারা সকাল থেকে রাত অবধি পরিশ্রম করে চলেছেন।
গুড়িপাড়া কালিমন্দির কমিটির সভাপতি অপূর্ব সরকার জানান, দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে এবার ৭০ হাজার টাকা মজুরি নিচ্ছেন কারিগররা এবং এ প্রতিমা তৈরীতে মৃৎশিল্পী আশিষ কুমার সিনহা রয়েছে।
শিল্পী আশিষ কুমার সিনহা জানান, এবার ৩টি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছেন। এখন এগুলো শেষপর্যায়ে রয়েছে। সাধারণত প্রতিমার আকার ও সাজসজ্জার উপর নির্ভর করে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়।
লাবু পাল নামে আরেক শিল্পী জানান, ভিন্ন ভিন্ন চুক্তিতে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। এখন প্রতিমা তৈরিতে দম ফেলার ফুরসত সময় নেই।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় চ্যাটার্জি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত আমাদের বাংলাদেশ। সব সম্প্রদায়ের মানুষ এক সঙ্গে মিলে জেলায় শারদীয় উৎসবের আনন্দ উপভোগ করবো। এবারও জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করার চেষ্টা করা হবে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। আনসার সদস্যদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের নজরদারি থাকবে।’
তিনি আরও জানান, জেলায় এবার ১৫৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. আবুল কালাম সাহিদ বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আগাম মাঠে কাজ শুরু করেছে। এছাড়া, র্যাব ও বিশেষ সংস্থার নজরদারিও রয়েছে।’
সারাবাংলা/এমও