ট্রাফিক বিভাগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর মেয়রের কাছে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
১ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৫৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: অসহনীয় যানজট পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় মেয়র ও কাউন্সিলররা তীব্র অসন্তোষ জানিয়ে ‘সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সচল আছে কি না’ এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন। জানতে পেরে মেয়রের কাছে ছুটে গেলেন সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পাঁচ কর্মকর্তা।
রোববার (১ অক্টোবর) নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে গিয়ে মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঊর্ধ্বতন পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা। এরা হলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল মান্নান মিয়া এবং চার জোনের চার উপ-কমিশনার দক্ষিণের এন এম নাসিরুদ্দিন, উত্তরের জয়নুল আবেদীন, পশ্চিমের তারেক আহমেদ এবং বন্দরের মোস্তাফিজুর রহমান।
মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাতে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পে-পার্কিং, ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণ ও সড়কে অপরাধ মোকাবিলায় চসিকের সঙ্গে মিলে একযোগে কাজ করার কথা দেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীও এতে সায় দিয়ে বলেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব দিলে আমরা সেটা অবশ্যই বিবেচনা করব। দুই প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে মিলে কাজ করলে যানজট অবশ্যই নিরসন সম্ভব। পার্কিং একটা বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে-সেখানে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়, এটিই শহরে যানজট বাড়াচ্ছে। একারণে আমি নগরীতে পে-পার্কিং চালু করতে চাই। ব্যাটারিচালিত রিকশা বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাড়িয়েছে, এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’
গত ২৭ সেপ্টেম্বর চসিকের সাধারণ সভায় যানজটসহ সার্বিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে নগর পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান কাউন্সিলররা। এতে সায় দিয়েছিলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীও। যানজট নিরসনে পুলিশ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন কি না এই প্রশ্ন রেখে কাউন্সিলররা নগরীতে আদৌ ট্রাফিক বিভাগ আছে কি না এমন প্রশ্নও রাখেন। কাউন্সিলররা দাবি করেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও হকারদের কাছ থেকে পুলিশ বড় অঙ্কের টাকা পায়।
সারাবাংলা/আইসি/একে