‘সব জায়গায় নির্বাচনের তিনটা মডেল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে’
৪ অক্টোবর ২০২৩ ২২:০৮
ঢাকা: ‘আগামী নির্বাচনটা কেমন হতে পারে, তা নিয়ে সব জায়গায় তিন রকমের নির্বাচনের মডেল নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। একটা মডেল হচ্ছে, সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপি এলে আসবে, না এলে না আসবে। কতগুলো পেইড পার্টি করে ছোট ছোট দল করার মধ্যে দিয়ে একটু ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা হচ্ছে নির্বাচনের এক ধরনের আলোচিত মডেল।’
বুধবার (৪ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত ‘অবাধ ভোটাধিকার: প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশ নিয়ে বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালর সভাপতিত্বে এতে অপর তিন কমিশনার, ইসি সচিবসহ কয়েকজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, গণমাধ্যম ব্যক্তিরা অংশ নেন।
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘নির্বাচনের আরেকটা মডেল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এভাবে (প্রথম মডেল) যদি নির্বাচন করা হয় তাহলে হয়তো নির্বাচনটা পার পেয়ে যাবে, বর্তমান সরকার পার হবে। কিন্তু বেশি দিন এটা টেকাতে পারবে না। দুই মাস পর তাকে আবার নির্বাচন দিতে হবে। যেটা বিএনপিকে একবার নির্বাচন দিতে হয়েছিল। যাকে বলা হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন। সবকিছু তো আর টেবিলের ওপরে হয় না। টেবিলের তলেও কিছু একটা আছে। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেও সেটা আছে। তাহলে গতবার (২০১৮) সালে যে রকম একটা নেগুসিয়েশন হয়েছিল, যে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোকে ৮০ থেকে ৯০টা আসন দেওয়া হবে। কিন্তু সেই কথাটা রাখা হয়নি। এবার বোধ হয় কথাটা রাখা হবে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে ১০০ থেকে ১১০টা আসন দেয়া হবে। টেবিলের নিচে এরকম একটা ফয়সালা হচ্ছে। যদি হয় তাহলে পরিবেশ ও ভূমিকা আরেক রকম হবে।’
তিনি বলেন, ‘তারপরে আবার বলা হচ্ছে, বিএনপি, জামাত ও হেফাজত তাদের সব শক্তি এখনও ব্যয় করেনি। ইসি যখন তফসিল ঘোষণা করবেন তখন তারা সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামবেন। আমি রাজশাহী রংপুরসহ সারাদেশ ঘুরে এসেছি। মানুষ কিন্তু ভয়ে আছে। রক্তপাত হয় কিনা, ব্লাডসিড হয় কিনা? অনির্দিষ্টকালের জন্য একটা ধর্মঘট হয়ে যায় কিনা? এই ভয়ের মধ্যে আছে।’
তৃতীয় মডেল হচ্ছে, বিএনপি, জামাত ও হেফাজত সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এই সরকারের পতন ঘটাবে। তারপর ওয়ান ইলেভেন সরকারের মতো একটা অর্তবর্তীকালীন সরকার আসবে। তারপর দুই বছর পর আরেকটা নির্বাচন হবে। তখন পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা আরও প্রকট হবে। কাজেই এই সময়ে পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা খুব শোভন প্রক্রিয়া না। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ হতে হবে। অবশ্যই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এখানে একটু ছাড় দিলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, জানান অধ্যাপক রোবায়েত।
সারাবাংলা/জিএস/এমও