Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপি বুঝতে পেরেছে কেউ মুখে ফিডার দিয়ে ক্ষমতায় বসাবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:১৫

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ভেবেছিল, তাদের কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। মির্জা ফখরুলেরও সেই উপলব্ধি ছিল হয়ত। এজন্য তিনি খুব উৎফুল্ল ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তার চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। এতোদিনে বিএনপি বুঝতে পেরেছে কেউ তাদের মুখে ফিডার দিয়ে ক্ষমতায় বসাবে না।

রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়রে সভাকক্ষে ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত ‘পূর্বপাকিস্তান সংকট শ্বেতপত্র’ পুনর্মুদ্রণের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ভিসানীতিতে বিএনপি বেশ খুশি ছিল। কিন্তু এখন বলছে ভিসানীতি নিয়ে ভাবনার কিছু নেই, আন্দোলন করেই সরকারের পতন ঘটাব। যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের সবার ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে। সেটিও অনুধাবন করতে পেরেছে বিএনপি। এজন্য কর্মীদের আন্দোলন করতে বলেছে তারা।

তিনি বলেন, বিএনপি বুঝতে পেরেছে, যথা সময়ে নির্বাচন হবে এবং অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তাদের অনুরোধ করব, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার পথ পরিহার করে বাস্তবতা মেনে নিয়ে নির্বাচনে আসার জন্য।

নির্বাচনকালীন মন্ত্রীসভা ছোট হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। সংবিধান অনুযায়ী এটি করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার কোন বাধ্যবাধকতা সংবিধান অনুযায়ী নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যেকোনো সিদ্ধান্তই গ্রহণ করতে পারেন। এবং গত ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কোন নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করা হয়নি। যে সরকার ছিল সেই সরকারই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিল।

নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, এটি তো ভালো, কারণ বিদেশিদের আগ্রহ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্কে বহুমাত্রিকতা আছে। এবং সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নানান ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক আছে। জঙ্গি দমনে, সন্ত্রাসবাদ দমনে এবং আমাদের উন্নয়নে সব জায়গায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সহযোগিতার সম্পর্ক আছে। তাদের যে প্রতিনিধি দল এসেছে আমি মনে করি সেটি ভালো দিক।

বিএনপি ছাড়া নির্বাচন করলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে কিনা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে ছাড়া তো নির্বাচন করতে চাই না। আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। আমরা চাই বিএনপি ও নির্বাচনে আসুক এবং অংশগ্রহণ করুক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। তারা যে বলছে তাদের প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা, সেটি একটু যাচাই-বাছাই করে দেখুক।

তিনি বলেন,নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করল সেটির চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ। সর্বশেষ যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো হয়েছে সেখানে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি, কিন্তু ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ সেখানে ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।  আমরা চাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করুক কিন্তু না আসলেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।

গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্ত পৃথিবীতে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে সেটির ঢেউ কিছুটা যে বাংলাদেশের ওপর লাগেনি তা নয়, বাংলাদেশেও লেগেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং অন্যান্য দেশ এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সব জায়গায় অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। সেটির ছোঁয়া বাংলাদেশেও লেগেছে, এটি খুব স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক মাঝপথেই থেমে গেছে, এটা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো কতগুলো গুজব। তিনি (নিরাপত্তা উপদেষ্টা) বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এক ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক হয়েছে। এটি নিয়ে যারা লিখেছে তারা কি সেখানে ছিল? বিদেশি একজন শীর্ষ কূটনীতিক বা শীর্ষ কর্মকর্তার সম্পর্ক কোন পর্যায়ে হলে আমাদের দূতাবাসে গিয়ে বৈঠক করে সেটি যারা বুঝতে ব্যর্থ হয় তারা কিছুই বোঝে না।

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

টপ নিউজ নির্বাচন বিএনপি ভিসানীতি মার্কিন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর