সার্ভারের ক্যাপাসিটি কম থাকায় জন্ম নিবন্ধনে ভোগান্তি
৯ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:২৯
ঢাকা: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারে প্রতিদিন ১৭ হাজার নিবন্ধন সম্পন্ন করা যায়। যেখানে এই সংখ্যা হওয়া উচিত অন্তত ৫০ হাজার। সার্ভারের ক্যাপাসিটি কম থাকার ফলেই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা পেতে নাগরিকদের বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে আজ এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জানানো হয়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় কোথায় ঘাটতি বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা চিহ্নিত করার এই সভায় ন্যারো গেটওয়ে সম্প্রসারণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
নাগরিক ভোগান্তি দূর করতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা চলমান রেখে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্পূর্ণ করার নির্দেশ প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, সব বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশ যখন সবার কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত তখন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় কোনো প্রকার ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং কাউন্সিল, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ডিপার্টমেন্ট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় এর সাতজন প্রতিনিধি সমন্বয়ে কমিটি আগামী সাতদিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন করবে। এই কমিটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য পরামর্শ প্রদান করবে। এছাড়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় সার্ভারের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, সফটওয়্যার ডিজাইন এবং ডাটাবেজ তৈরির পরামর্শ দিবে এই কমিটি।
এ ছাড়াও সভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের অর্গানোগ্রাম বা লোকবল কাঠামোকে সময় উপযোগী করে গড়ে তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এ সময় প্রস্তাব রাখেন উপরোক্ত কমিটির রিপোর্টের পর আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়কে প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে আইসিটি ডিভিশন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. রাশেদুল হাসান, উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমান ছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তিবিভাগের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/আরএফ/একে