Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার চিত্র নিয়ে জেনেভায় সভা

স্টাফ করেসপেন্ডেন্ট
১০ অক্টোবর ২০২৩ ২২:০৫

২০০১ সালের নির্বাচনের পর বাংলাদেশ যে সহিংসতা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের মধ্য দিয়ে গেছে সেইদিন আর কখনো দেখতে চায় না মানুষ। যারা নির্যাতন করেছিল, জ্বালাও পোড়াও করেছিল তারাই এখন মানবাধিকারের কথা বলে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আন্তর্জাতিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে নানা স্যাংশনের কথা বলে কেউ কেউ দমানোর চেষ্টা করছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য এর কোনটিই মঙ্গলজনক নয়। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আয়োজিত এক সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে সাতটার কিছু পরে শুরু হওয়া এই আয়োজনে অংশ নেন জেনেভা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ সংসদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের অ্যাক্টিভিস্টরা। তারা বলেন, গত মাস থেকে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক অধিবেশন চলছে। সেখানে জামায়াত-বিএনপির লোকজন বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী নানা কিছু তুলে ধরার অপচেষ্টা করেছে। সেকারণে জাতিসংঘ কার্যালয়ের সামনেই আমরা এই সভার আয়োজন করেছি। আমরা ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত যে সহিংসতা করেছিল তার প্রমাণ হাজির করেছি।

বিজ্ঞাপন

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখানে ২০০১-এর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যারা বিদেশে এসে এখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা নালিশ করে তারা কী কী ঘটিয়েছে তা প্রদর্শন করা জরুরি।

সভার আয়োজন করে যৌথভাবে ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশ ও প্রেস এক্সপ্রেস।

সভায় বক্তব্য দেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই সমাবেশ যেকোনো সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও ইসলামী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে বারবার। তারা ষড়যন্ত্র করে। তারা নানাভাবে বিদেশি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে লিবিয়া সিরিয়ার মতো দেশ বানাতে চায়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র যেন সফল না হয় সেজন্য আমাদের এই আয়োজন। আমরা শেখ হাসিনাকে সমর্থন করি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেকুলার বাংলাদেশের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। নির্বাচন পরবর্তী দিনেই তারা দেশজুড়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন চালায়। আওয়ামী সমর্থক নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়ি দোকান সব পুড়িয়ে দেয়। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, জামায়াত ও বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন। জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান, দয়া করে এদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। জামায়াত-বিএনপি যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। আর কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম সেখানে যেন এই দলগুলো চালাতে না পারে।

এরপর ফারহানা হোসেন উপমা ঘোষণা পড়ে শোনান। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে অর্জিত স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার কথা তুলে ধরেন তিনি। ঘোষণায় বলা হয়, যে দেশ মানবাধিকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে, সেই দেশকে তার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন সুষ্ঠু করার কথা বলে স্যাংশনের মুখে ফেলা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, মানবাধিকারকর্মী থেকে শুরু করে প্রগতিশীল মানুষ নির্বাচনকালীন সহিংসতা নিয়ে শঙ্কিত। কারণ তারা ২০০১-এর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা দেখেছে।

সভায় সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি জোসেফ জোন্স ও ডাচ সংসদ সদস্য হ্যারি ভ্যান বোমেল সংহতি জানান।

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর