Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কামরাঙ্গীচর হবে আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:১৫

ঢাকা: কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১১ অক্টোবর) কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ থেকে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল সরণি’ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এ কথা বলেন। ডিএসসিসি’র নিজস্ব অর্থায়নে এই সড়কটি নির্মাণ করা হবে। দুই হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০৪ ফুট গড় প্রশস্ততার এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৯ কোটি টাকা।

মেয়র বলেন, কামরাঙ্গীরচরে অপরিকল্পিত নগরায়ন হয়েছে। আমরা ঢাকা শহরকে একটি বাসযোগ্য, পরিকল্পিত নগরীতে রূপান্তর করার চেয়ে যে মহাপরিকল্পনা নিয়েছি, সে প্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। উন্নত দেশে আমরা দেখি, একটি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক বা ফিনান্সিয়াল হাব থাকে। সেভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।

আদি বুড়িগঙ্গা ঘিরে পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরে মেয়র আরও বলেন, পুন:খননের ফলে আদি বুড়িগঙ্গা তার পুরনো রূপ আবার ফিরে পাচ্ছে। এর পাশ দিয়েই আমরা নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। এই লোহারপুল সেতুর জায়গায় আমরা ছয় সারি বিশিষ্ট একটা আধুনিক সেতু নির্মাণ করা হবে। এর উত্তরদিকে যে এলাকা রয়েছে আমরা সেখানে আধুনিক মানের একটি ফাইভ স্টার হোটেল, কনভেনশন হল, ৫০তলা বিশিষ্ট নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করব। আর দক্ষিণ দিকে সুন্দরভাবে আবাসন গড়ে তুলব।

এছাড়াও বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় দিয়ে নিজামবাগ থেকে ঝাউচর পর্যন্ত আরও চার সারি সড়ক নির্মাণ করা হবে। এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে আজ এই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, রাজধানী ঢাকার আধুনিক প্রাণকেন্দ্র হবে কামরাঙ্গীরচর। দুই পাশে নদী পরিবেষ্টিত এই ধরনের নান্দনিক পরিবেশ শুধু ঢাকা শহরই নয়, সারা বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে না। ইনশাল্লাহ আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই কামরাঙ্গীরচরের চেহারা পাল্টে যাবে। পরিকল্পিত নগরায়নের আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা কামরাঙ্গীরচরবাসী পাবে।

এ সময় কামরাঙ্গীরচর-কেন্দ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে যথাসময়ের আগেই পূর্ণ পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, এখানে যে সকল সরকারি জমি রয়েছে সেগুলো অবশ্যই দখলমুক্ত করা হবে। আর ব্যক্তি মালিকানাধীন যে সকল জমির প্রয়োজন হবে, আমরা তাদেরকে পূর্ণরূপে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করব যা যথাসময়ের আগেই আপনারা পেয়ে যাবেন।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আজকে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, অগ্রগতি হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাকে আমরা যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, এই অর্জনগুলোকে আমরা যাতে রক্ষা করতে পারি, কোনো হায়েনার দল যেন এই অর্জনগুলোকে নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই শেখ হাসিনার পাশে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকব। সব অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে আগামী নির্বাচনে আমরা শেখ হাসিনাকে বিজয় উপহার দেব।

পরে মেয়র তাপস সিদ্দিক বাজার আধুনিক নগর বিপনী বিতানের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ৩ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীরসহ স্থানীয় কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ

কামরাঙ্গীচর টপ নিউজ তাপস মেয়র


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর