জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:২৭
ঢাকা: পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষে মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে হিউম্যান প্যাপিলোমাভা (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স- গ্যাভির সহায়তায় এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রথমে ঢাকা বিভাগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলবে মোট ১৮ দিন। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে বাংলাদেশের মোট আটটি বিভাগে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এদিন মানিকগঞ্জ জেলা শহরের এস কে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। আগামী ১৮ দিনের মধ্যে মানিকগঞ্জের এক হাজার ১৮৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭১ হাজার ৪১৫ জন ছাত্রীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম ধাপের টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এই কেন্দ্রে প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘প্রথম ধাপে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েরা এই ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় থাকবে। টিকা নিতে হলে প্রথমে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীকে ভ্যাক্স ইপিআই অ্যাপে জন্মসনদ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন ছাড়া ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ থাকছে না। প্রথম ধাপে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই কর্মসূচির আওতায় ঢাকা বিভাগে ২৩ লাখ কিশোরীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে মোট ১৮ দিন এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পরের ৮ দিন নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ও স্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’
এর আগে, ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিপসমে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর এক ডোজের এই এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।
উল্লেখ্য, সারাদেশের অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই লক্ষ্যে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগ এবং আগস্য মাসে দেশের বাকি পাঁচ বিভাগে দেওয়া হবে এইচপিভি ভ্যাকসিন।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম