মৃত্যুর পর দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন
১৬ অক্টোবর ২০২৩ ২২:২৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে যে মামলায় আদালতের পরোয়ানামূলে গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে, সেটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন বাদী। মৃতের পরিবার থেকে সেটি বারবার ‘মিথ্যা মামলা’ বলে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন বাদী রণি আক্তার তানিয়া।
এদিন দুদক কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার আদালতে চার পুলিশ কর্মকর্তাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন, যার মধ্যে অভিযুক্ত হিসেবে তানিয়াও আছেন। একইদিনে তানিয়াও মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন জানিয়ে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওসমান গণি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আদালত মামলা প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করে ২০০ ধারায় বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। এ বিষয়ে আদালত পরে আদেশ দেবেন।’
আদালতে দায়ের হওয়া তানিয়ার মামলায় পরোয়ানামূলে গত ৩ অক্টোবর রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ দুদকের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে (৬৪) গ্রেফতার করে। তার বাসা নগরীর চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায়।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, হুমকিধমকি ও মানহানির অভিযোগে গত ২৯ আগস্ট শহীদুল্লাহসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন রণি আক্তার তানিয়া। পরোয়ানামূলে গ্রেফতারের পর শহীদুল্লাহকে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে বসানো হয়। কিছুক্ষণ পর পর তিনি অসুস্থবোধ করতে থাকেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত শহীদুল্লাহ’র মুখে এসময় ইনহেলার স্প্রে করেন তার সঙ্গে যাওয়া ছোট ভাই। কিন্তু অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে শুরু করলে ছোট ভাইয়ের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ শহীদুল্লাহকে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, জায়গা-জমি দখলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তানিয়াকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন তাদের প্রতিবেশি জসিম।
এদিকে সোমবার আদালতে দায়ের করা শহীদুল্লাহ’র স্ত্রীর মামলায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরা হলেন, চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম ও পরিদর্শক (তদন্ত) মনিবুর রহমান, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ ও সোহেল রানা এবং এস এম আসাদুজ্জামান, জসিম উদ্দিন, মো. লিটন, রণি আক্তার তানিয়া ও কলি আক্তার।
মামলার আরজিতে বাদী অভিযোগ করেন, জায়গা-জমি দখলের জন্য আসাদুজ্জামান, জসিম, লিটন, তানিয়া ও কলি মিলে তার স্বামীকে মিথ্যা মামলার আসামি করেন। এতে তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তা দেন চান্দগাঁও থানার অভিযুক্ত চার পুলিশ কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ