‘পয়সা দিয়ে পর্যবেক্ষক আনতে হবে— আমরা এমন পর্যায়ে নেই’
১৬ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৫৫
ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, নির্বাচনের সময় আমাদের লজিস্টিক সহায়তা যেটা লাগে সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু নির্বাচন দেখাতে পয়সা দিয়ে পর্যবেক্ষক আনতে হবে— আমার মনে হয় না আমরা এমন পর্যায়ে আছি।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র যদি নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষক পাঠায়, সেটির ব্যয় কি বাংলাদেশ বহন করবে?- এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমাদের ব্যয় বহন করার নজির অতীতে নেই। এবং বর্তমানেও এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যে, বিদেশিদের পয়সা দিয়ে এনে আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করাতে হবে।’
নতুন নিষেধাজ্ঞার আলোচনা শোনা যাচ্ছে; এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি? জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এটা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি, আমরাও যেচে জিজ্ঞাসা করিনি।’
কূটনীতিকরা যদি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন তাতে কি আপনারা এখন স্বস্তি বোধ করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, স্বস্তি-অস্বস্তির কিছু নেই। তারা যদি অযাচিতভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন এবং সেটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হয়, সেক্ষেত্রে আমরা ভিয়েনা কনভেনশনের কথা বলেছি। কিন্তু আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে তাদের যদি কোনো জিজ্ঞাসা থাকে বা তাদের যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় কোনো মতামত থাকে, আমরা সবসময়ই তার জবাব দিতে প্রস্তুত।’
পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, ‘তারা যদি এমন কিছু বলে বা এমন কিছু করে, যা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল, সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের আপত্তির কথা বলেছি। বন্ধুরাষ্ট্র ও অংশীদার হিসেবে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হতেই পারে। তাদের কেনো জিজ্ঞাসা থাকলে কিংবা ব্যাখ্যা দাবি করলে, আমরা সেটার জবাব দিই। জনপরিসরে এসব নিয়ে অযাচিত পরামর্শ বা উপদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আপত্তি রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দল আইআরআই ও এনডিআই যে সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশ সরকার কি সেগুলোর অনুমোদন দিয়েছে? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু প্রশ্ন বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারকে করা আছে। এখনো আনুষ্ঠানিক জবাব আমরা দিইনি। আর নির্বাচনের বিষয়টি যেহেতু অনেকখানি নির্বাচন কমিশন দেখবে, সুতরাং নিশ্চয়ই ইতোমধ্যে তাদের নজরে আনা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নজরেও নিশ্চয় এসেছে। তারা তাদের মতো বলবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এটা আমরা দেখছি এবং এই মুহূর্তে এটা নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
যুক্তরাষ্ট্র কেন মনে করছে যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না, তাদের আপত্তি কোথায়? এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এটা তো নতুন কিছু না, তারা তো বলেই যাচ্ছে। আমরাও বারবার তাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। অংশগ্রহণ বলতে জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে। কাজেই জনগণ যে রায় দেবে, সেটাই মেনে নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম