ইউরেনিয়ামের ৪র্থ চালান পৌঁছাল রূপপুরে
২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:২৩
পাবনা: কঠোরতম নিরাপত্তায় দেশের প্রথম ও একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান রাজধানী ঢাকা থেকে পৌঁছেছে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে প্রকল্প এলাকায়।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করে। প্রকল্প এলাকায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পে কর্মরত বাংলাদেশি ও রাশিয়ানরা ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়ি বহরকে স্বাগত জানান।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী জানান, ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর ভোরে রাজধানী ঢাকা থেকে রওনা দেয়। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায় সেটি।
আরও পড়ুন- বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর, নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ
এর আগে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর। পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সেই জ্বালানি নেওয়া হয় প্রকল্প এলাকায়।
এক সপ্তাহ পর গত ৫ অক্টোবর বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই জ্বালানি হস্তান্তর করা হয় প্রকল্প কর্মকর্তাদের কাছে। ইউরেনিয়াম কমিশনিংয়ের মাধ্যমে সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক ক্লাবে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।
প্রথম চালান আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের পর গত ৬ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান ঢাকা থেকে পৌঁছায় রূপপুরে। এক সপ্তাহ পর ১৩ অক্টোবর একই পথে ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান রূপপুর প্রকল্প এলাকায় নেওয়া হয়। আরও এক সপ্তাহের ব্যবধানে আজ রূপপুর প্রকল্পের জন্য জ্বালানির চতুর্থ চালান নেওয়া হলো সেখানে।
আরও পড়ুন- বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর, নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বৃহৎ প্রকল্প। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের ব্যয় ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। ঋণ সহায়তা হিসেবে রাশিয়া দিচ্ছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
ইউরেনিয়াম কমিশনিংয়ের দিনে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। আর ২০২৫ সালের মাঝামাঝি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিট চালু হলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিটের ভৌত এবং অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়ে গেছে ৯০ শতাংশের বেশি। আর দ্বিতীয় ইউনিটের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।
আরও পড়ুন-
- পারমাণবিক ক্লাবে প্রবেশ করছে দেশ
- রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে: পুতিন
- ‘পরমাণু শক্তি আমরা শান্তি রক্ষায় ব্যবহার করব’
- সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রূপপুরে পৌঁছেছে ইউরেনিয়াম
- সেপ্টেম্বরে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে যাচ্ছে রূপপুরের বিদ্যুৎ
- রূপপুরের পথে ইউরেনিয়াম, ঢাকা-পাবনা রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ
- পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন পুতিনের
সারাবাংলা/টিআর
ইউরেনিয়াম ইউরেনিয়ামের ৪র্থ চালান বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি রূপপুর রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্র